প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে আর ভোটে দাঁড়াতে না পারেন তা নিয়ে নির্দেশ দেওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এক ব্যক্তি। তবে দিল্লি হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, যে ব্যক্তি এই ধরনের আবেদন করেছিলেন তিনি মনে হয় মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি তুষার রাও গাদেরা স্থানীয় পুলিশ ও ডিস্ট্রিক্ট জাজকে ওই ব্য়ক্তির ব্যাপারটি নজরে রাখার জন্য বলেছেন। ওই ব্যক্তি হলেন ক্যাপ্টেন দীপক কুমার । তার বিরুদ্ধে মেন্টাল হেলথকেয়ার অ্যাক্টে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলেও বলা হয়েছে।
এদিকে ওই ব্য়ক্তি আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ভারতীয় সংবিধানের ভুল শপথ নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির মাধ্য়মে তাকে খুন করার চেষ্টা করছেন। এরপরই আদালত ওই ব্যক্তির মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আপনি কি ভালো আছেন? আপনার আবেদন একদিকে শুরু হয়েছে আর অন্যদিকে গিয়ে শেষ হয়েছে। আপনি কি ভালো আছেন? আপনার আবেদন কোনও মানুষ বুঝতে পারবেন না। কোনও সেন্স নেই। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ওই ব্য়ক্তি মনে মনে যা ভাবেন সেটাই সামনে আনা হয়েছে। বার অ্য়ান্ড বেঞ্চ সূত্রে বলা হয়েছে ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এর আগে আদালতের সিঙ্গল জাজের কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন যে মোদী মিথ্যা শপথ নিয়েছেন।
তিনি তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন যে মোদী একটা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। মোদী তাকে খুন করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। মোদীকে মিথ্যে শপথ নিয়ে তদন্ত করা দরকার। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল আদালতে। গত ৩০ মে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল আদালতে। ফের আবেদন করেন ওই ব্যক্তি।