আর 'আত্মনির্ভর' নন। কিন্তু আগের ১০ বছরের মতোই দেশের 'আশা-আকাঙ্খা পূরণের' জন্য কাজ করবে তাঁর সরকার। বরং সেটার গতি আরও বাড়বে। এমনই আশ্বাস দিলেন ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি আগামী রবিরার সন্ধ্যা ছ'টায় তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রহ্লাদ জোশী। তবে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে সরকারিভাবে সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। মোদী বলেছেন, ‘আপাতত ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমায় কাজ করতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি। উনি আমায় শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানিয়েছেন।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন যে রবিবার সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলে ভালো হয় বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে। এবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয় ঠিক করবে রাষ্ট্রপতি ভবন। ততক্ষণে রাষ্ট্রপতির হাতে তৃতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রীদের নামের তালিকা তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন মোদী।
ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীকে নিয়োগ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি ভবনের ঠিক সামনেই দাঁড়িয়েই শুক্রবার মোদী সেইসব তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন। এনডিএয়ের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে এসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন মোদী। যতক্ষণ না শপথগ্রহণ-পর্ব হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মোদীকে আগেই নিজেদের সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সমর্থনপত্র জমা দিয়ে আসেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নেতারা। আর তারপর মোদীকে আপাতত ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। তুলে দেন নিয়োগপত্র। শপথগ্রহণের পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
২০৪৭ সালের লক্ষ্যে মোদী
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বেরিয়ে এসে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, '২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন দেশের স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে অষ্টাদশ লোকসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অষ্টাদশ লোকসভা হল নয়া উন্মাদনা, যৌবনের উন্মাদনার প্রতীক। এনডিএকে আরও পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন মানুষ। গত ১০ বছর ধরে এনডিএ সরকার (বিজেপি সরকার বলেননি) যে কাজ করেছে