একাধিক নজির গড়ে আজ ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু। আজ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর নিজের ভাষণে দ্রৌপদী বলেন, তাঁর রাষ্ট্রপতি হওয়া কোটি কোটি নারীর স্বপ্ন ও সামর্থ্যের প্রতিফলন। এদিন রাষ্ট্রপতি সংসদের সেন্ট্রাল হলে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমার কাছে এটা সবচেয়ে সন্তোষজনক যে যারা বছরের পর বছর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলেন - সেই দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসীরা আমাকে তাঁদের প্রতিচ্ছবি হিসাবে দেখতে পাচ্ছেন। আমার মনোনয়নের পিছনে দরিদ্রদের আশীর্বাদ রয়েছে, এটা কোটি কোটি নারীর স্বপ্ন ও সামর্থ্যের প্রতিফলন।’
আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা শপথবাক্য পাঠ করান দ্রৌপদী মুর্মুকে। এরই সঙ্গে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি এবং সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত প্রথম আদিবাসী মহিলা। পাশাপাশি স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী। এই পদে আসীন হয়ে দ্রৌপদী বলেন, ‘সমস্ত ভারতীয়দের প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা এবং অধিকারের প্রতীক - সংসদে দাঁড়িয়ে আমি বিনীতভাবে আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের বিশ্বাস এবং সমর্থন এই নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য আমার কাছে একটি বড় শক্তি হবে।’
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী এদিন আরও বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার পদোন্নতি শুধু আমার নয়, দেশের সকলেরই কৃতিত্ব। প্রতিটি দরিদ্র মানুষ, প্রতিটি প্রান্তিক মানুষ আমাকে এই পদক্ষেপে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন এবং তাই আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি নারী ও যুবকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তাঁদের স্বার্থ আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ এদিন তিনি নিজের আদিবাসী ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি সেই আদিবাসী ঐতিহ্যে জন্মগ্রহণ করেছি যা হাজার বছর ধরে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবন চালিয়ে গিয়েছে। আমি আমার জীবনকালে বন ও জলাশয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছি। আমরা প্রকৃতি থেকে প্রয়োজনীয় সম্পদ গ্রহণ করি এবং সমান শ্রদ্ধার সাথে প্রকৃতির সেবা করি।’