সবুজ-লাল পাড়ের সাদা সাড়ি পরে আজকে দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তবে শপথগ্রহণের পরে নাকি রাষ্ট্রপতি জানান, দ্রৌপদী তাঁর আসল নাম নয়। রাষ্ট্রপতি জানান তাঁর নাম ‘দ্রৌপদী’ রেখেছিলেন তাঁর স্কুলের এক শিক্ষক। এক ওড়িয়া ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাষ্ট্রপতি জানান, সাওঁতালি ভাষায় তাঁর আসল নাম ছিল ‘পুটি’। পরে অবশ্য স্কুলের শিক্ষক সেই নাম বদলে ‘দ্রৌপদী’ করে দেন। তিনি জানান যে শিক্ষক তাঁর নাম বদল করেছিলেন, তিনি অন্য জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
মুর্মু সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সাঁওতালি সংস্কৃতিতে নাম কখনও ‘মরে না’। তিনি বলেন, ‘যদি পরিবারে একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে, সে তাঁর দিদার নাম নেয়। যখন একটি ছেলে জন্ম নেয়, তখন দাদুর নামে তার নামকরণ করা হয়।’ এদিকে দ্রৌপদী আরও জানান, জীবনকালে বহুবার তাঁর নাম বদল হয়েছে। এককালে তাঁর নামের উচ্চারণ ছিল ‘দূরপদি’। পরে সেই উচ্চারণ হয়েছিল ‘দৌরপদি’। শেষ পর্যন্ত তা ‘দ্রৌপদী’ হয়। তাঁৎ পদবীও ‘মুর্মু’ ছিল না বলে জানান দ্রৌপদী। তিনি জানান, জন্মের সময় তাঁর পদবী ছিল ‘টুডু’।
উল্লেখ্য, আজ সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা শপথবাক্য পাঠ করান দ্রৌপদী মুর্মুকে। এরই সঙ্গে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত প্রথম আদিবাসী মহিলা হলেন তিনি। তাছাড়া স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন দ্রৌপদী। এছাড়াও ভারতের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতিও হলেন তিনি।