আর্থিক জালিয়াতি মামলায় ইডির তদন্ত ঘিরে আরও বিপাকে এবার আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ছাড়পত্র পেয়ে গেল ইডি। মঙ্গলবার এই ছাড়পত্র দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে, ২০২২ সালের মে মাসে ইডি গ্রেফতার করে তৎকালীন দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে। আপাতত তিনি জামিনে রয়েছেন।
সত্যেন্দ্র জৈনের মামলায় গত সপ্তাহেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর কাছে আবেদন জানায়। যাতে রাষ্ট্রপতি এই মামলা দায়ের করার ছাড়পত্র দিয়ে দেন। তার প্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির তরফে এল এই ছাড়পত্র। উল্লেখ্য, ৬০ বছর বয়সী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ২০১৮ নং ধারার আওতায় এই বিশেষ অনুরোধ রাষ্ট্রপতির কাছে জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইডির একটি তদন্তের ওপর নির্ভর করে এই আবেদন জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
বর্তমানে জেল থেকে জামিনে বেরলেও ইডির চার্জশিটে রয়েছে সত্যেন্দ্র জৈনের নাম। উল্লেখ্য, এই আর্থিক তছরুপের মামলা ২০১৭ সাল থেকে চলছে। সেবছরের অগস্ট থেকে এই মামলা চলছে। সিবিআই-র করা এফআইআর-র হাত ধরে এই মামলা চলছে জৈন সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে। এদিকে, সেই মামলায় তিহার জেলে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দি ছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন। গত ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তিহার জেল থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে হের হন। এরপর আসে দিল্লি ভোটের পালা। এদিকে, দিল্লি ভোটে আপ ব্যাপক ধাক্কা খায়। হারায় ক্ষমতা। এরপর আরও এক ধাক্কা আপ শিবিরে। সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে ইডির এই পদক্ষেপের অনুরোধ ঘিরে রাষ্ট্রপতির ছাড়পত্র নিঃসন্দেহে সত্যেন্দ্র জৈন সহ আপের শিবিরে বড় ধাক্কা। উল্লেখ্য, দিল্লি ভোটে প্রার্থীও হয়েছেন জৈন। ভোটে শকুর বস্তি কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে যান। দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপির কর্নেল সিংয়ের কাছে শকুর বস্তি কেন্দ্র থেকে তিনি পরাজিত হন।