ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের একদিন পরই বিদেশ মন্ত্রকে ফিরেছেন জয়শঙ্কর। তিনি একাধিক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই তিন নেতা ছাড়াও ভুটান, মরিশাস, নেপাল ও সিশেলসের রাষ্ট্র নেতাদেরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই অনুষ্ঠানে মুইজুর অংশগ্রহণকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কারণ ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুনভাবে তলানিতে নেমে যাওয়ার পরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের ভারতে আগমন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। গত বছর 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারের ভিত্তিতে নির্বাচিত মুইজু ক্ষমতায় আসার পরপরই মলদ্বীপে মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন।
‘আজ নতুন দিল্লিতে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ডঃ মহম্মদ মুইজুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। ভারত ও মলদ্বীপ একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছি,’ বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছিলেন।
রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া নৈশ ভোজের ছবিতে মুইজুকে মোদীর পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর একই ধরনের এক পোস্টে জয়শঙ্কর বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা বৈঠকটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের সার্বিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে।
বিক্রমাসিংহের সঙ্গে বৈঠকের পর জয়শঙ্কর বলেন, 'ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মোদী রাষ্ট্রপতি ভবনে সফররত নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাদের সবার সাথে পৃথক এবং সংক্ষিপ্ত সামনাসামনি বৈঠকও করেছিলেন, তবে অনেকেই বলছেন বাস্তবের কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য নেতাদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি মোদী তার ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং ‘সাগর’ দৃষ্টিভঙ্গি বা এই অঞ্চলের সকলের জন্য সুরক্ষা ও বৃদ্ধির প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মোদী বলেন, তৃতীয় মেয়াদে ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারতের লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই অঞ্চলের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে তিনি এই অঞ্চলের মানুষে মানুষে যোগাযোগ ও যোগাযোগ আরও গভীর করতে চান।
তিনি বলেন, ভারত ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরকে প্রশস্ত করা অব্যাহত রাখবে’।