সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে 'এক দেশ, এক নির্বাচনে'র পক্ষে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি নিজের ভাষণে দাবি করেন, এক দেশ এক নির্বাচন নীতি কার্যকর বলে দেশে 'নীতি পক্ষাঘাত' দূর হবে। এরই সঙ্গে দেশের ওপর থেকে আর্থিক বোঝাও কমবে বলে দাবি করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন যে বর্তমান সরকার দেশের 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা' পরিবর্তন করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘সাহসী ও দূরদর্শী’ নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'ভারতীয় হিসেবে আমাদের যে সম্মিলিত পরিচিতি আছে, সেটার আসল ভিত্তি তৈরি করে দেয় সংবিধান। এটাই আমাদের পরিবার হিসেবে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে।' এদিকে নিজের ভাষণে সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। (আরও পড়ুন: এবার দূর হবে দুশ্চিন্তা, সরকারি কর্মীদের জন্যে চুপিসারে জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: '৩ জনের নাম যাতে সামনে না আসে…', আরজি কর মামলায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়ের নয়া আইনজীবী
গতকাল ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা হিসেবে ভারত একটা সময় জ্ঞানের উৎসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল।' তাঁর বক্তব্য, বড় সংস্কারের জন্য সাহসী এবং দূরদর্শী হয়ে উঠতে হয়। আর সেই সংস্কারের কাজটা করা হচ্ছে। এই আবহে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’, অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, 'বড় সংস্কারের জন্য সাহস এবং দূরদর্শিতার প্রয়োজন হয়। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন প্ল্যান শাসনব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা আনতে পারে। এটি নীতি পক্ষাঘাত রোধ করতে পারে। সম্পদের অপচয় প্রশমিত করতে পারে এবং অন্যান্য অনেক সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি আর্থিক বোঝা কমাতে পারে।' এরই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, 'আগামিদিনেও এমন সাহসী এবং দূরদর্শী অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারা বজায় থাকবে দেশে।' (আরও পড়ুন: 'আওয়ামি লিগ যদি দিল্লির কোলে বসে…', নির্বাচনে হাসিনার দলে 'না' ইউনুসের উপদেষ্টার)
আরও পড়ুন: 'ভারতের দিকে তাকিয়ে…', প্রাক্তন আওয়ামি MP-মন্ত্রীদের গ্রুপে তলে তলে ছক কষা হচ্ছে
এদিকে দেশে চলে আসা 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা' প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'আমরা ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অনেকের মানসিকতায় ঔপনিবেশকতার ছাপ রয়ে গিয়েছিল। আর সেই মানসিকতা পরিবর্তন করার জন্য আমরা সম্প্রতি একাধিক পদক্ষেপ দেখছি। সেরকম যে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ন্যায় সংহিতা। ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি), কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (সিআরপিসি) এবং ১৮৫৭ সালের 'ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট' বাতিল হয়ে 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা', ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ কার্যকর হয়েছে।'