একপাশে বসে নরেন্দ্র মোদী, জেপি নড্ডা। অন্য পাশে বসে রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহ। তাঁদের মধ্যমণি হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু।
শুক্রবার দ্রৌপদীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্বে হাজির ছিলেন প্রথমসারির সব নেতা। হাজির ছিলেন বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। নির্বাচনের আগেই কার্যত একপ্রস্থ বিজয় মিছিল সেরে ফেলেন দ্রৌপদীরা। তারপর বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ সংসদ ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারপর মোদী, শাহদের সঙ্গে হেঁটে বেরিয়ে যান দ্রৌপদী।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদীর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই খবর পাওয়ার পরই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন দ্রৌপদী। ভিজে যায় চোখ। তারইমধ্যে ফোনে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমার নাম নিয়ে আলোচনা চললেও আমি এটা কখনও ভাবতে পারিনি। আমার মতে, এটাই প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদীর সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস নীতির উদাহরণ।’
মোদী কী বলেছেন?
মোদী বলেন, ‘সমাজের জন্য কাজ করতে এবং গরিব, নিপীড়িত ও প্রান্তিকদের ক্ষমতায়নের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মুজি। তাঁর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা অত্যন্ত বেশি এবং রাজ্যপাল হিসেবেও দারুণ মেয়াদ পার করেছেন। আমি নিশ্চিত যে উনি দেশের দুর্দান্ত রাষ্ট্রপতি হবেন।'
আরও পড়ুন: Droupadi Murmu: বারবার তিনবার - কোবিন্দ, নীরজ, দ্রৌপদী - পূর্বাভাস 'মেলালেন' এক নেটিজেন
যদি দ্রৌপদী নির্বাচনে জিতে যান, তাহলে ইতিহাস গড়বেন। প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসেবে বসবেন রাষ্ট্রপতির কুর্সিতে। সেই রেশ ধরে মোদী বলেন, 'যাঁরা দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করেছেন এবং জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের পাশাপাশি লাখ-লাখ মানুষ দ্রৌপদী মুর্মুজি'র থেকে শক্তি সঞ্চয় করেছেন। নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সহানুভূতিশীল চরিত্রের কারণে আমাদের দেশ অত্যন্ত লাভবান হবে।'