মার্কিন নির্বাচনে চলতি বছরে গর্ভপাতের অধিকার একটি বড় ইস্যু হয়েছিল। এর আগে, ২০২২ সালে এই ইস্যুতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ‘রো ভার্সেস ওয়েড’ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় কেড়েছিল নজর। গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে। এদিকে মঙ্গলবারের ভোটে গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে ভোট দিয়েছে ১০ প্রদেশ। গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়ে ৭ প্রদেশে এসেছে জয়।
২০২২ সালের পরে মার্কিন মুলুকের ১৩ প্রদেশ এবার গর্ভপাতের অধিকারকে মান্যতা দিয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলেছিল আমেরিকায়। মার্কিন রাজনীতিতেও এই নিয়ে ঝড় ওঠে। তবে এই মার্কিন রাজনীতির জায়গা থেকে দেখলে এবারে এই গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষের ভোট বেশ তাৎপর্যবাহী। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের ভোট প্রচারের সময় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস দৃপ্ত কণ্ঠে গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, তাঁর প্রতিযোগী ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি গর্ভপাতের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করেন। এদিকে, ভোটের ছবি বলছে, রিপালিকানদের দখলে আসা একাধিক প্রদেশের বাসিন্দারা স্থানীয়স্তরে কিন্তু গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। ফলে এই সমস্ত জায়গার ভোট চ্রাম্পের সপক্ষে পড়লেও গর্ভপাতের অধিকারের সপক্ষেও পড়েছে। যে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। আর সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মসনদে বসছেন।
( Social Media Ban: বয়স ১৬র নিচে হলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা! এমনই আইন আনতে চলেছে ভারতের বন্ধু দেশ)
যে ৭ প্রদেশ গর্ভপাতের আইনের পক্ষে রায় দিয়েছে সেগুলি হল, অ্যারিজোনা, মিসৌরি, নেভাডা, মন্টানা, কলোরাডো, নিউ ইয়র্ক এবং মেরিল্যান্ড। এরমধ্যে, নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ডের মতো ডেমোক্র্যাট ঘাঁটির পাশাপাশি মন্টানা, মিসৌরি, অ্যারিজোনা রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি। সেই প্রদেশগুলিতেও গর্ভপাতের পক্ষে রায় দিয়েছে জনতা। যে তিন প্রদেশ এর বিপক্ষে রায় দিয়েছে, তা হল ফ্লোরিডা, সাউথ ডাকোটা ও নেব্রাস্কা। ফ্লোরিডার প্রার্থী ট্রাম্প নিজেও বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। যে আইন ফ্লোরিডায় বর্তমানে রয়েছে, তা হল ছয় সপ্তাহ পরে গর্ভপাতের নিষিদ্ধকরণ। আর তা লাগু রয়েছে মে মাস থেকে।