রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের প্রথম দিনে বুধবার এগারোজন প্রার্থী কাগজপত্র দাখিল করলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। যার মধ্যে একটি মনোনয়ন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। যথাযথ নথিপত্র পেশ না করায় সেই মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২৯ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে এবং ৩০ জুন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২ জুলাই। জানা গিয়েছে বিহারের সারণ জেলার লালু প্রসাদ যাদব নামক এক ব্যক্তিও মনোনয়ন পেশ করেছেন এবার। গতবারও তিনি পেশ করেছিলেন মনোনয়ন। তবে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে এবছরই নিয়ম বদল হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের। নয়া নিয়মে এখন এই পদের জন্য ভোটে দাঁড়ানোর জন্য ন্যূনতম ৫০ জন প্রস্তাবক এবং ৫০ জন সমর্থকের প্রয়োজন এবং তাঁদের ইলেক্টোরাল কলেজের (ইলেক্টোরাল কলেজ - সাংসদ এবং বিধায়ক) সদস্য হতে হবে। এদিকে প্রস্তাবক এবং সমর্থকদের আলাদা হতে হবে। তাঁরা একই ভূমিকায় থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ প্রস্তাবক সমর্থক হতে পারবেন না বা সমর্থক প্রস্তাবক হতে পারবেন না। এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জামানতের পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে তা ছিল পাঁচ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নির্বাচনে ৯৫ জন প্রার্থী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ময়দানে নেমেছিলেন। মোট ১০৮টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছিল আগেরবার। একজন প্রার্থী চারটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন। সেই মতো একাধিক প্রার্থী একাধিক মনোনয় জমা দিয়েছিলেন আগের বার। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের পরে গতবার কেবলমাত্র দুটি নামই ভোট ময়দানে ছিল। একজন রামনাথ কোবিন্দ এবং অন্যজন মীরা কুমার। বাকি সব মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। প্রস্তাবক ও সমর্থকদের একত্রিত করার শর্তটি এমন সব লোকদের এবার থেকে থামাবে যারা কোনও ভিত্তি ছাড়াই এভাবে মনোনয়ন জমা দিতেন।