জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে সম্প্রতি বিশ্বভারতী ও নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মধ্য়ে মনোমালিন্য তুঙ্গে ওঠে।। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, বিশ্বভারতীর জমি দখল করেছেন অমর্ত্য সেন। তবে অর্থনীতিবিদ অবশ্য এই দাবি মানতে চাননি। এসবের মধ্যে বিতর্কের রেশ ফুরানোর আগেই বিশ্বভারতীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর ১১৩৪ একর জমি রয়েছে।২০১৮ সালে ৭৭ একর জমি দখল করা হয়েছিল।গত চার বছরে বিশ্বভারতী ১৫ একর জমি পুনরুদ্ধার করেছে। বাকি জমি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয়েছিল।
এদিকে বিশ্বভারতীর তরফে দাবি করা হয় ১৩ ডেসিম্যাল জায়গা অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর মধ্যে থেকে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই জমি উদ্ধারের জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বভারতী। এদিকে এর সঙ্গেই উল্লেখ করা হয়েছে প্রয়োজন মনে করলে আদালতে যেতে পারেন অমর্ত্য সেন বা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে পারেন। কিন্তু কোন পথে যাবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ?
অন্যদিকে অমর্ত্য সেন পালটা প্রতীচীর ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তবে তাতেও অবশ্য় নরম হয়নি বিশ্বভারতী। উলটে রীতিমতো প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে এনিয়ে।
সব মিলিয়ে সমস্যা মেটা তো দূর অস্ত উভয়ের মধ্যে দূরত্ব কার্যত বেড়ে গেল অনেকটাই। জমি উদ্ধারের জন্য বিশ্বভারতী যে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে সেটাও এদিন কার্যত পরিষ্কার হয়েযায় এদিন। এদিকে বিশ্বভারতীয় তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে যাতে বিশ্বভারতীর জমি দখল করা না হয়, ও দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করা যায় তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন কার্যত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো যোগ্য়তা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এনিয়ে যথেষ্ট খুশি হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু আপাতত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবশ্য জমি সংক্রান্ত ব্যাপারকে সামনে এনে অমর্ত্য সেনের কাছে চিঠি দিয়েছে। তার সঙ্গেই এবার জমি সংক্রান্ত ব্যাপারকেও সামনে আনা শুরু করল। তার সঙ্গেই সেই জমি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেছে বিশ্বভারতী।
তবে এবার অমর্ত্য সেন শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।