চলবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ‘অ্যাকশন’। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় গ্রেফতারি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো কঠোর পদক্ষেপের সাংবিধানিক বৈধতা বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতায় কঠোর পদক্ষেপ এবং ইডির ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে যে একগুচ্ছ আবেদন দাখিল করা হয়েছিল, তা বুধবার খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি এএম খানউইলকরেরর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির তদন্তের মুখে পড়া একাধিক ব্যক্তির দাখিল করা আর্জিতে দাবি করা হয়েছিল, সংবিধানের ২০ ধারা এবং ২১ ধারার যে অধিকার স্বীকৃত আছে, তা লঙ্ঘিত হয়েছে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে। সেইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগ ছিল, ইডির হাতে যে ক্ষমতা আছে এবং আইনের ব্যাপকতার কারণে যে কোনও অপরাধকে আর্থিক তছরুপে পরিণত করে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: SSC scam: মেয়ের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না-পার্থর গ্রেফতারিতে অস্বস্তিতে ঘনিষ্ঠ বাপ্পাদিত্য
সেই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গ্রেফতারি, তল্লাশি অভিযান, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো পদক্ষেপের জন্য ইডির হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তা সাংবিধানিকভাবে বৈধ। কোনওরকম স্বেচ্ছাচারিতা নয়। সেইসঙ্গে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে কঠোর শর্তও বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: PMLA and ED: গত ১৭ বছরে কালো টাকা সাদা করে শাস্তি পেয়েছে মাত্র ২৩ জন
পার্থের গ্রেফতারি
সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর ‘সহযোগী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে।
গত শনিবার মেডিক্যাল পর্বের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পার্থ বলেছিলেন, ‘নেত্রীর (তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাঁকে পাইনি।’ যদিও পরে সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, ‘অভিযানের সময় তো সবার আগে ফোন বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়। তাহলে উনি (পার্থ) কীভাবে ফোন করার চেষ্টা করবেন কীভাবে?’ সেইসঙ্গে পার্থের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা হচ্ছে না বলে জানিয়েছিল তৃণমূল।