বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Price Cap on Russian Oil: G7-এর 'কথা' মানলেই জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ, দেশগুলিকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন পুতিন

Price Cap on Russian Oil: G7-এর 'কথা' মানলেই জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ, দেশগুলিকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন  (AP)

পশ্চিমী দেশগুলির কথা মেনে যে যে দেশ রাশিয়ার তেলের 'প্রাইস ক্যাপ' মেনে নেবে, তাদের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে রাশিয়া। এই নির্দেশ নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার তেলে সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল জি৭ ও তাদের সহযোগী দেশগুলি। এই আবহে রাশিয়া এবার ঘোষণা করল, পশ্চিমী দেশগুলির কথা মেনে যে যে দেশ রাশিয়ার তেলের 'প্রাইস ক্যাপ' মেনে নেবে, তাদের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে রাশিয়া। এই নির্দেশ নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে জি৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া মূল্যে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ভারত। এই আবহে ভারতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল রাশিয়া। এবার যে সব দেশ বেঁধে দেওয়া মূল্যে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে চাইছে, তাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা পাঠালেন পুতিন।

রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেয়ায় এক সপ্তাহে ডলারের তুলনায় রুবেলের দাম পড়েছে ৮ শতাংশ। তেল রফতানি কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পুতিনের ভাঁড়ারে। এই আবহে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে কড়া পদক্ষেপ করার ঘোষণা করেছেন পুতিন। এক প্রেসিডেনশিয়াল ডিক্রির মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করেছেন, কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে জি৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া দামে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে চায়, তাহলে সেই দেশে জ্বালানি তেল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই ডিক্রি। বর্তমানে, ইইউ, জি৭ এবং অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারে।

প্রসঙ্গত, ইউরোপের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়াকে দমানোর জন্য সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেঁধে দেয় জি৭ এবং ইইউ। এই আবহে ইউরোপ থেকে মুখ সরিয়ে নিয়ে ভারত ও চিনকে তেল বিক্রির দিকে মন দিয়েছে রাশিয়া। এতে আখেড়ে লোকসান হচ্ছে ইউরোপের। রাশিয়ার কাছ থেকে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি তেল কিনছে তুরস্ক, ভারত এবং চিন। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ভারত ২০২২ সালের প্রথম ৮ মাসে ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন তেল কিনেছে। এদিকে পশ্চিমী দেশগুলি প্রথম থেকেই রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের সমালোচনা করেছে। তবে সময়ে সময়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর তা নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিকে কড়া জবাব দিয়েছে এই নিয়ে। এদিকে দাম বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে রাশিয়ার সাফ বক্তব্য, অন্য খদ্দের খুঁজে নেওয়া হবে। এভাবে ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানকে দুর্বল করা যাবে না।

বন্ধ করুন