ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েক বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি লিখেছেন। কী আছে সেই চিঠিতে?
সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃষ্টির জেরে ওড়িশার বাজারে আলুর যোগান কিছুটা কম রয়েছে। এর জেরে কৃত্রিম একটা দাম বৃদ্ধি হচ্ছে ওড়িশার বাজারে। এর জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে আলুর ট্রাকের লম্বা লাইন রয়েছে। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি এনিয়ে হস্তক্ষেপ করুন যাতে আলুর যোগান ঠিকঠাক হয়।
এদিকে বাংলাতেও আলুর দাম কম কিছু নয়। আলুর দাম এখনও কলকাতার বাজারে ৩৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে. এর জেরে আলু কিনতে গিয়ে মহা সমস্য়ায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তবে সম্প্রতি আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে সমস্যা আরও বেড়েছিল। সেই সমস্যা বর্তমানে কিছুটা কমেছে। কিন্তু তারপরেও আলুর দাম যে কমে গিয়েছে এমনটা নয়।
নবীন পট্টনায়ক লিখেছেন, আপনি জানেন যে আমাদের একটা অপরিহার্য সবজি হল আলু। কিন্তু বৃষ্টির জেরে আলুর যোগান কিছুটা কমে গিয়েছে।
নবীন লিখেছেন, আগের একাধিক এই ধরনের পরিস্থিতিতে আপনি যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তাতে আমাদের এখানকার বাসিন্দারা আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন। ওড়িশা আর বাংলার মধ্য়ে একটা সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। আমরা সকলেই মহাপ্রভূ জগন্নাথদেবের ভক্ত। এরপরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হস্তক্ষেপ চান।
এদিকে এই চিঠি পাওয়ার পরে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।
এদিকে বাংলার আলু ব্যবসায়ীরা আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের নানা সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ হিমঘর অ্যাসোসিয়েশন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকে। কর্মবিরতির জেরে মঙ্গলবার থেকে খুচরো বাজারে আলুর দাম বাড়তে থাকে। রাজ্যের বাজারগুলিতে কোথাও ৪০ টাকা কোথাও কিলো প্রতি ৫০ টাকা দাম উঠে যায়। আর তাতেই সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
তবে আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বুধবার বলেছিলেন, ‘বৃহত্তর স্বার্থে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের পাশে আছি। তবে রাজ্য থেকে যে আলু বাইরে যায় তা রফতানির বিষয়টিও যেন রাজ্য সরকার খেয়াল রাখে। মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। বিবেচনা করে দেখবেনও বলেছেন। আমরা আমাদের দাবি লিখিত আকারে রাজ্য সরকারের কাছে জানাচ্ছি।’