রাজস্থানে জমি বিবাদের জেরে খুন হলেন এক পুরোহিত। তার জেরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে সরব হওয়ার দাবি করছেন। মনে করা হচ্ছে হাথরস ঘটনায় চাপে পড়ে যাওয়া বিজেপি রাজস্থানে পুরোহিতের মৃত্যুকে নিয়ে ফ্রন্টফুটে খেলবে।
বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরের হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ৫০ বছর বয়সী পুরোহিত। বুধবার কারৌলি জেলায় জমি নিয়ে বিবাদের জেরে কয়েকজন দুষ্কৃতি তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই আঘাত থেকেই মৃত্যু হল বাবুলাল বৈষ্ণবের। কারৌলির পুলিশ সুপার জানান যে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এবার খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান পুলিশ অফিসার মৃদুল কাচ্ছা। মৃত্যুর আগে পুরোহিত নিজের বয়ান দিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান পুলিশ এসপি।
এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজস্থান। কেন রাহুল গান্ধী রাজস্থানে যাচ্ছেন না সেই প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ফাইভ স্টারে বসে থাকলে রাজ্যপাট চলবে কি করে, কটাক্ষ সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের। সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা সিন্ধিয়াও। বিপাকে পড়ে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন এরকম হিংসার কোনও জায়গা নেই রাজ্যে। মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে ও দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
জানা গিয়েছে মন্দিরের জমির জবরদখল রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতিদের চক্ষুশূল হন বাবুলাল। অভিযুক্ত কৈলাস মিনা ও তার সঙ্গীরা বুকনা গ্রামে স্থিত এই পুরোহিতের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। খুব খারাপ অবস্থায় পুরোহিতকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় যেখান থেকে তাঁকে জয়পুরে রেফার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে মন্দিরের আওতায় তিন একর জমি আছে কিন্তু সেখানে জবরদখল করতে চাইছিল অভিযুক্ত মীনা। কয়েকজনের জন্য নিজের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করতে শুরু করেন পুরোহিতমশাই। এরপরই পেট্রোল দিয়ে পুরোহিতের কুঁড়েঘর জ্বালিয়ে দেয় মীনা।
পুলিশের বক্তব্য, এই জমি বিবাদের কথা পুরোহিত কখনো অভিযোগ জানাননি। মৃৃত্যুর আগে বয়ানে ছয় জনের নাম করেছিলেন বাবুলাল বৈষ্ণব। এখন তাদের সমুচিত শাস্তি দেওয়ার পাল্লা।