পশ্চিমবঙ্গ পেল শততম কিসান রেল। যা চলবে মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত। দুই রাজ্যের মধ্যে কৃষিজ ফসল পরিবহণ করা হবে এই বিশেষ ট্রেনে। সোমবার সবুজ পতাকা দেখিয়ে শততম কিসান রেলের সূচনা করে কৃষকদের অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে কিসান রেলপথ সম্প্রসারিত হয়েছে। এবার শততম কিসান রেল চালু হল। আমি সারা দেশের সমস্ত কৃষককে অভিনন্দন জানাতে চাই।’ কিসান রেলের ব্যাপারে এদিন নরেন্দ্র মোদী বলছিলেন, ‘এটি কৃষকদের আয় বাড়াতে বড় পদক্ষেপ। দেশের হিমঘরগুলিকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলবে কিসান রেল পরিষেবা। কিসান রেলকেই চলন্ত হিমঘর বলা যায়। দুধ, ফল, মাছ, সবজির মতো পচনশীল পণ্য এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে নিরাপদ পরিবহণ মাধ্যম কিসান রেল।’
এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, সারা দেশে কৃষি পণ্য পরিবহণে আমূল পরিবর্তন এনেছে কিসান রেল। পচনশীল শাক–সবজি দ্রুত পরিবহণের ক্ষেত্রে কিসান রেল অত্যন্ত কার্যকরী। কমলালেবু, কলা, আতা, বেদানা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লঙ্কা, পেঁয়াজ, আঙুরের মতো ফল–সবজি বহন করছে কিসান রেল। উল্লেখ্য, করোনা আবহের মধ্যে অগস্ট মাসে প্রথম চালু হয় কিসান রেল। তার পর থেকে একের পর এক অনেক ট্রেন চালু হয়েছে। এতদিন ট্রেনের সংখ্যা ছিল ৯৯টি। এদিন আর একটি ট্রেন সংযোজিত হলে দেশের ১৪টি রাজ্যে মোট ১০০টি কিসান রেল চলা শুরু হল।
শনিবারই কেন্দ্রীয় প্রকল্প কৃষি সম্মান নিধি বাংলায় চালু না হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার কৃষকরা। আর তার পর সোমবার বাংলাকেই কিসান রেল দেওয়া রাজনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।