কুয়েত সফরে গিয়ে সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তাঁকে কুয়েত সরকারের তরফে 'অর্ডার অফ মুবারক দ্য গ্রেট' প্রদান করা হল। ভারত ও কুয়েতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে মোদীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই সম্মান প্রদান বলে জানিয়েছে সেদেশের সরকার।
এদিন সকালে বায়ান প্রাসাদে মোদীকে এই সম্মান প্রদান করেন কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহ। উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আল-আবদুল্লা আল-আহমেদ আল-সাবাহ।
মোদী ভারত ও কুয়েতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের উদ্দেশে এই সম্মানটিকে উৎসর্গ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি কুয়েতে বসবাসকারী ১০ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ভারতের ১৪০ কোটি জনতার উদ্দেশেও এই সম্মান উৎসর্গ করেছেন।
মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘কুয়েতের আমির, মাননীয় শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর কাছ থেকে মুবারক আল-কবীর অর্ডার পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি এই সম্মাননা ভারতের আমজনতাকে এবং ভারত ও কুয়েতের মধ্য়ে যে দৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রয়েছে, সেই সম্পর্কের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’
কুয়েতের আমির মোদীকে এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা আমাদের সর্বোচ্চ মেডেল এবং আপনি এটা অর্জন করেছেন। আমরা শত শত বছর ধরে ভারতীয় সাধারণতন্ত্রের সঙ্গে আমাদের বন্ধন অক্ষুণ্ণ রেখে চলেছি।'
প্রসঙ্গত, এর আগে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কুয়েত সফরে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার ৪৩ বছর পর নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কুয়েত সফর করলেন। সেই উপলক্ষেই তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়।
এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, 'এই সম্মাননা প্রদান এই আয়োজনে বিশেষ মাত্রা যোগ করে দিয়েছে।'
১৯৭৪ সাল থেকে এই সম্মান বিশিষ্টদের প্রদান করা হচ্ছে। সেই তালিকায় যে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা ব্যক্তিরা রয়েছেন, তাঁরা হলেন - ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডাব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন এবং সৌদি আরবের রাজা সলমন বিন আবদুল্লাজিজ আল-সউদ।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ১৯টি দেশের সরকারি সম্মান পেয়েছেন। তার মধ্য়ে অন্যতম - সৌদি আরবের অর্ডার অফ কিং আবদুল আজিজ, অর্ডার অফ স্টেট অফ প্যালেস্তাইন, দ্য ইউনাইটেড আরব এমিরেট্স' অর্ডার অফ জায়াদ, অর্ডার অফ ফিজি এবং মিশরের অর্ডার অফ দ্য নাইল।
উল্লেখ্য, গত মাসেই মোদীকে নাইজেরিয়ার - গ্র্যান্ড কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ নাইজার - সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। দুই দেশের সম্পর্কে মজবুত করার জন্য তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়।
এছাড়া, করোনা কালে পাশে থাকার জন্য এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য তাঁকে ডমিনিকার পক্ষ থেকে ডমিনিকা অ্য়াওয়ার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।