সোমবার বেশ কয়েকটি ম্যারাথন বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত আঠারো উর্ধ্ব সবাইকে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। এই আবহে আজ পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে টিকা প্রস্তুকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠকে ভারত ছাড়াও বিদেশি টিকা প্রস্তুতকারকদের উপস্থিত থাকার কথা।
এখনও পর্যন্ত দেশে দুটি করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে - সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এছাড়া সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ভারতে ডঃ রেড্ডি এই টিকা প্রস্তুত করবে। এছাড়া ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকাও শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনার সক্রিয় সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি, এবং যেখানে করোনা টিকাকরণ নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে, সেই হিসেবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনার প্রতিষেধক পাঠানো নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, দেশে যে পরিমাণ করোনার টিকা তৈরি হবে, তার ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে দেওয়া হবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ অন্যত্র দেওয়া হবে। এছাড়া বাইরে থেকে আমদানি করা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত টিকাও খোলা বাজারে ব্যবহার করা যাবে। সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে আগের মতোই বিনামূল্য করোনার টিকা পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা এবং ৪৫ ঊর্ধ্ব নাগরিকরা।
সোমবার বিকেলে দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এরপরই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবথেকে বড় হাতিয়ার হল টিকাকরণ। চিকিৎসকদের কাছে তিনি অনুরোধ করেন যাতে তাঁরা আরও বেশি করে রোগীদের অনুরোধ করেন টিকাকরণের জন্য। করোনা থেকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে নির্মূল করতে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করার জন্যও বলেন তিনি।