গত শনিবার ২৫ জুন বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় উদ্বোধন হল পদ্মা সেতুর। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রী হিসাবে প্রথম টোল ট্যাক্স দেন তিনি। এক সেতু আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টোল ট্যাক্সই পদ্মা সেতুর প্রথম আয়।
রবিবার ২৬ জুন থেকেই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে বিভিন্ন গাড়ির উপর ধার্য টোল ট্যাক্সের পরিমাণের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই সেতু পার হওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার বা জিপের ক্ষেত্রে ৭৫০ টাকা,পিক-আপ ভ্যানের ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা,মাইক্রোবাসের ১৩০০ টাকা,মিনিবাসের ১৪০০ টাকা,মাঝারি মাপের বাসের দুহাজার টাকা,বড় বাসের ২৪০০ টাকা টোল লাগবে। এছাড়াও পাঁচ টন পর্যন্ত ট্রাকের ১৬০০ টাকা,পাঁচ থেকে আট টনের ক্ষেত্রে ২১০০টাকা,আট থেকে ১১ টন ট্রাকের ২৮০০ টাকা টোল লাগবে। চার এক্সেল ট্রলারের ছয় হাজার টাকা এবং এর বেশি মাপের ট্রলারের ক্ষেত্রে প্রতি এক্সেলে ১৫০০ টাকা করে লাগবে।
বাংলাদেশ সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, আশা করা হচ্ছে প্রথম এক বছরেই এই সেতু থেকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি রাজস্ব আদায় হবে। টোল আদায় হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর প্রথম যাত্রী হিসাবে টোল ট্যাক্স দিয়েছেন— একথা সকলেই জানেন। বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫২ মিনিট নাগাদপদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে প্রথম টোল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেই যান সেতুর অপর প্রান্তে শরীয়তপুরের জাজিরায়। কেবলমাত্র নিজের গাড়ির নয়, তাঁর কনভয়ে থাকা সমস্ত গাড়ির টোল নিজেই দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর দেওয়া মোট টোলের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ১৬,৪০০ টাকা।