জেলবন্দি এক আসামীর ডেঙ্গুতে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের ফতেগড় জেলে একেবারে তুমুল সংঘর্ষ। বন্দিদের নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক বন্দির। জখম হয়েছেন ৩০জন পুলিশ। এদিকে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ গুলিচালনার অভিযোগ মানতে চায়নি। এদিকে বন্দিরা জেল হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি চলতে থাকে। পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (কানপুর জোন) ভানু ভাস্কর বলেন,ডিআইজি(হেডকোয়ার্টার) ভিপি ত্রিপাঠি এই হিংসার তদন্ত করবেন। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ অশোক মীনা বলেন, যারা হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু শব্দ শোনা গিয়েছে, তবে গুলিচালনা হয়নি। কিন্তু কীভাবে ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে তা পরিষ্কার হয়নি।জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, জেলের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিংসার ঘটনায়, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সঠিক সময়ে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
তবে জেল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেছিল বন্দিরা। জেলের সদর দরজাও ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল।সূত্রের খবর, সন্দীপ যাদব ওই বন্দির শনিবার রাতে মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে তার চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে জেলের রবিবার বিক্ষোভ শুরু হয়। দুজন ডেপুটি জেলারকে কার্যত আটকে রেখে মারধর শুরু করে বন্দিরা। বন্দিরা ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জেলের দখল নিয়ে নেয়। এরপর পুলিশ আসে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে , লাঠিচার্জ করে বন্দিদের ছত্রভঙ্গ করে। তখনই শিবম নামে এক বন্দি গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি করা হয়েছে।