১০৯টি রুটে ১৫১টি বেসরকারি ট্রেন চালানোর অনুমতি দেবে ভারতীয় রেল। বুধবারের এই ঘোষণার পরেই নড়চড়ে বসেছে সবাই। বিরোধিতায় লেগে গিয়েছে কংগ্রেস। কেন এই সিদ্ধান্ত ও কবে থেকে চলবে বেসরকারি ট্রেন, সেই সম্বন্ধে জানিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব।
রেল বোর্ড জানিয়েছে যে ২০২৩ সাল থেকে প্রথম ব্যাচের বেসরকারি ট্রেন পরিষেবা শুরু করবে। টিকিটেের ভাড়া তারাই ঠিক করবে। যদি ব্যবসায় টিকতে হয়, তাহলে খুব বেশি ভাড়া ধার্য করলে চলবে না বলেই জানান রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাই প্লেন বা এসি বাসের ভাড়ার সমতুল বেসরকারি ট্রেনের ভাড়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই মুহূর্তে বর্তমানে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে লোকসান হয়ে রেলের। সেই টাকাটা বেসরকারি সংস্থারা ট্রেন চালালে উঠে আসবে বলেই জানিয়েছেন ভিকে যাদব। ফলে এর ওপর যা রাজস্ব রেল আয় করে সেটা রেলের মুনাফা হবে।
এপ্রিল ২০২৩-এর মধ্যে বেসরকারি রেল পরিষেবা চালু করতে চায় কেন্দ্র। সমস্ত ট্রেন ও কোচ ভারতে বানানো হবে। সব মিলিয়ে রেল ৩০ হাজার কোটির লগ্নি পাবে বলে মন্ত্রকের আশা। চিনা সংস্থাদের বিড করতে দেওয়া হবে কিনা, সেই নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন নিয়মমাফিক কাজ করা হবে।
ইতিমধ্যেই রেলের এই পরিকল্পনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাহুল গাম্ধীর অভিযোগ গরীবদের জীবনরেখা রেল, ও সেটাই কেড়ে নিচ্ছে সরকার। তবে এই কথা মানছে না রেল। তাদের মতে ৯৫ শতাংশ ট্রেন তো সরকার চালাবে, ভাড়া সরকার ঠিক করবে। দাম বাড়ার প্রশ্ন কোথায়। বরং একই দামনে গরীবরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা পাবেন ট্রেন যাত্রাকালে বলে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দাবি। হাওড়া সহ ১২টি ক্লাস্টার জুড়ে চলবে এই ১৫০টি বেসরকারি ট্রেন।