বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Private Trains: অত্যাধুনিক ট্রেন চালাতে চায় ১৫টি সংস্থা, সফরে সময় কমবে ৩০ শতাংশ

Private Trains: অত্যাধুনিক ট্রেন চালাতে চায় ১৫টি সংস্থা, সফরে সময় কমবে ৩০ শতাংশ

গুরুত্বপূর্ণ রুটে বেসরকারি ট্রেন চালাতে ১৫টি সংস্থার থেকে মোট ১২০টি আবেদন পেয়েছে ভারতীয় রেল।

১৫টি সংস্থার থেকে মোট ১২০টি আবেদন পেয়েছে ভারতীয় রেল। তালিকায় ১৪টি ভারতীয় সংস্থার পাশে রয়েছে স্প্যানিশ সংস্থাও।

গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেন চালাতে বেসরকারি সংস্থার থেকে দরপত্র আহ্বানের জেরে ১৫টি সংস্থার থেকে মোট ১২০টি আবেদন পেয়েছে ভারতীয় রেল। তালিকায় রয়েছে এলঅ্যান্ডটি, জিএমআর ও ওয়েলস্পান-এর মতো হেভিওয়েট সংস্থা।

অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে গত ১ জুলাই থেকে ১০৯টি রুটে বেসরকারি সংস্থার দ্বারা ট্রেন চালানোর আনুষ্ঠানিক শুরুয়াৎ করে রেল মন্ত্রক। 

জানা গিয়েছে, এই চার সংস্থা ছাড়াও দরপত্র জমা দিয়েছে অরবিন্দ অ্যাভিয়েশন, ভেল, আইআরসিটিসি ও ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড-সহ বড় মাপের সংস্থা। তালিকায় ১৪টি ভারতীয় সংস্থার পাশে রয়েছে স্প্যানিশ সংস্থা কনস্ট্রাকসিওনেস ই অক্সিলিয়ার ডি ফেররোকারিলেস। 

গত অগস্ট মাসে দরপত্র আহ্বানের আগের বৈঠকে ভারতে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে উৎসাহ প্রকাশ করেছিল বম্বার্ডিয়ার ট্রান্সপোর্টেশন ইন্ডিয়া, সিমেন্স লিমিটেড, অ্যালস্টম ট্রান্সপোর্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর মতো একাধিক সংস্থা। তার মধ্যে দেশের ১২টি ক্লাস্টারে ট্রেন পরিষেবা দিতে এগিয়ে এসেছে ১৫টি সংস্থা। 

এর মধ্যে দিল্লি ২ ক্লাস্টারের জন্য ১২টি, মুম্বই ২ ক্লাস্টারের জন্য ১২টি, বেঙ্গালুরুর জন্য ১১টি, প্রয়াগরাজ, সেকেন্দেরাবাদ, জয়পুর ও দিল্লি ১ ক্লাস্টারের প্রতিটির জন্য ১০টি এবং চণ্ডীগড়, হাওড়া, পটনা, মুম্বই ১ ও চেন্নাই ক্লাস্টারের প্রতিটির জন্য ৯টি করে দরপত্র জমা পড়েছে। মোট ১৫১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিশ্বমানের পরিষেবাযুক্ত ট্রেন চলবে ১২টি ক্লাস্টারের অন্তর্গত ১৪০টি রুটে ট্রেন চলবে উৎস স্টেশন থেকে গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত।

দফায় দফায় নিজস্ব নেটওয়ার্কে বেসরকারিট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেল মন্ত্রকের। এর মধ্যে প্রথম ১২টি ট্রেন চালু হবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫১টি ট্রেনই চালু হয়ে যাবে বলে খবর। 

রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকা। ৭০% রেকতৈরি হবে ভারতে। বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বে থাকবে প্রকল্প চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক বিনিয়োগ, সংগ্রহ, পরিচালনা ও ট্রেন সংরক্ষণ। 

অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেনগুলির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিমি পর্যন্ত। এর মধ্যে ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিবেগের জেরে প্রায় ১০-১৫% কমবে যাত্রাকালীন সময় এবং ৩০% সময় কমবে ঘণ্টায় ১৬০ কিমি গতিবেগের ট্রেনে। প্রাথমিক ভাবে ট্রেনগুলি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিবেগে দৌড়লেও ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে গতিবেগ বেড়ে দাঁড়াবে ঘণ্টায় ১৬০ কিমি।

বন্ধ করুন