কোভিশিল্ডের ডোজ। কোথাও সেই ডোজ নিতে খরচ পড়ছে ৯০০ টাকা, কোথাও ৮৫০ টাকা, কোথাও আবার ১,০৫০ টাকা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেই বিস্তর দামের ফারাক এবং সার্ভিস চার্জের নামে বেশি টাকা নেওয়ার কৌশলে রাশ টানতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হল, নির্ধারিত দামের থেকে ডোজপিছু সর্বাধিক ১৫০ টাকা নিতে পারবেন বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি যে পরিমাণ টিকা তৈরি করবে, তার ২৫ শতাংশ কিনতে পারবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বাকি ৭৫ শতাংশ কিনবে কেন্দ্র। টিকা কিনে গ্রহীতাদের প্রদান করার সময় পরিষেবা কর (সার্ভিস চার্জ) বাবদ ডোজপিছু সর্বাধিক ১৫০ টাকা নিতে পারবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অর্থাৎ এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতাগুলিতে টিকার ডোজের মধ্যে খরচের বেশি ফারাক হবে না। একটি নির্দিষ্ট স্তরে দাম বাঁধা থাকবে।
শুধু সার্ভিস চার্জ বেঁধে দেওয়াই নয়, সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার পর সোমবার টিকা নীতিতেও পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। মোদী জানান, গত ১ মে থেকে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে ৫০ শতাংশ প্রতিষেধক কিনছিল কেন্দ্র। ২৫ শতাংশ টিকা বরাদ্দ থাকছিল রাজ্যগুলির জন্য। বাকি টিকা কিনতে পারছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলি। কিন্তু রাজ্যগুলির উপর ‘ব্যর্থতার’ দায় চাপিয়ে মোদী জানান, আগামী ২১ জুন থেকে ৭৫ শতাংশ টিকা কিনবে কেন্দ্র। রাজ্যের হাত থেকে টিকা কেনার দায়িত্ব ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর ২১ জুন থেকে দেশজুড়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিনামূল্যে টিকাকরণ হবে। তবে যাঁরা টাকা দিয়ে টিকা নিতে চান, তাঁরা পারবেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চলবে টিকাকরণ।