লন্ডনে গিয়ে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে একাধিক 'বিতর্কিত মন্তব্য' করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই অভিযোগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে মোদী-আদানিকে নিয়ে মন্তব্য করায় সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ এনেছিল বিজেপি। আর এবার কংগ্রেসের তপফে পালটা নরেন্দ্র মোদী বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হল। কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল কংগ্রেস নেতা এই নোটিশ এনেছেন। অভিযোগ, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই বারাণসীর সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে বাজেট অধিবেশনের প্রথন পর্বে নেহরু পদবী ব্যবহার করা নিয়ে গান্ধী পরিবারকে তোপ দেগেছিলেন মোদী। সেই প্রসঙ্গ তুলেই কংগ্রেসের তরফে এই স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ উত্থাপন করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: নবান্নর ডিএ আন্দোলনকারীদের নিজে চিনে নিতে চান মমতা, নেবেন কি কড়া ব্যবস্থা?)
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে বক্তৃতা রাখেন নরেন্দ্র মোদী। সেদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, 'কোনও এক রিপোর্টে পড়েছিলাম... আমি যাচাই তো করিনি, তবে তাতে বলা হয়েছিল যে সরকারের প্রায় ৬০০টি প্রকল্পের নাম গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নামে। আমি এটা বুঝতে পারি না যে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের কেউ নেহরু পদবি কেন ব্যবহার করেন না। এত কিসের লজ্জার? এত মহান ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এই দেশ কোনও এক পরিবারের সম্পত্তি নয়। আমরা মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেল রত্ন সম্মানের নামকরণ করেছি। আন্দামানে আমরা নেতাজির নামে দ্বীপের নামকরণ করেছি। অনেকেই দেশের সেনাকে অসম্মান করে। তাই আমি দেশের দ্বীপপুঞ্জের নামকরণ করেছি পরমবীরচক্রদের নামে।'
আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীদের 'লোভী' আখ্যা, বিস্ফোরক তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি
এদিকে সংসদে লাগাতার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তাঁর লন্ডন সফরের মন্তব্য নিয়ে নিশানা করে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে রাহুলের মন্তব্য নিয়ে খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করার দাবি জানালেন। সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করার দাবি জানানো হবে। এর আগে ২০০৫ সালে সংসদে প্রশ্নপত্র দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ১১ জন সাংসদের সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছিল সংসদের মর্যাদা নষ্ট করার জন্য। পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফেও এই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখা হয়েছিল।