মেয়ের রেস্তোরাঁ বিতর্কে স্মৃতি ইরানির পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। ‘১৯ বছরের বাচ্চার মা হিসেবে’ শিবসেনা সাংসদের পরামর্শ, ১৮ বছরের মেয়ে নিজের স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে ভুল করতে পারেন। সেজন্য তাঁর পিছনে পড়ে যাওয়ার কোনও যুক্তি নেই।
শনিবার টুইটারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ভারতে রেস্তোরাঁ চালাতে লাইসেন্স নেওয়ার প্রক্রিয়া কীরকম, সেটা নাও জানতে পারে ১৮ বছরের বাচ্চা। নিজের স্বপ্নপূরণে এক কমবয়সি মেয়ে দুঃসাহসিক কোনও কাজের চেষ্টা করেছে। হয়তো ভুল করেছে। কিন্তু তার পিছনে পড়ে যাবেন না। বিশেষ দ্রষ্টব্য: রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে ১৯ বছরের একজনের মা হিসেবে এই কথাটা বলছি।’
যদিও পালটা এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, কোনও আমজনতার ১৮ বছরের সন্তান একই কাজ করতেন, তাহলে কি সেই কথা বলতেন প্রিয়াঙ্কা? প্রত্যুত্তরে শিবসেনা সাংসদ বলেন, '১৮ বছরে আমার ভাইয়ের একই স্বপ্ন ছিল। যে সেরকম অর্থবান পরিবার থেকে উঠে আসেনি। মুম্বইয়ে নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য বড়সড় ক্ষতি এবং মানসিক সমস্যার মুখে পড়েছে। তাই আমি জানি যে উদ্বেগ কীভাবে আসে।'
কী নিয়ে বিতর্ক?
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, মৃত ব্যক্তির নামে মদের লাইসেন্স নিয়েছে গোয়ার একটি রেস্তোরাঁ। যে রেস্তোরাঁ স্মৃতির মেয়ে বলে চালিয়ে আসছেন বলে দাবি করা হয়। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা দাবি করেন, যে পুলিশ আধিকারিক ওই রেস্তোরাঁকে নোটিশ পাঠানোর ‘সাহস’ দেখিয়েছিলেন, তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। তাঁকে বদলি করার প্রক্রিয়া চলছেও বলে দাবি করা হয়। কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আপনার সমর্থকরা যখন লুলু মল-হনুমান চালিশা-নমাজের বৃত্তে আটকে আছেন, আপনার ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করছে (যেটা ভালো জিনিস, সেটা করা উচিত) বা আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় বেআইনি কাজ করছেন।’
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমার মেয়ের দোষ হল যে সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর ৫,০০০ কোটি টাকার লুঠের বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিল ওর মা। ওর দোষ হল যে ওর মা ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিল।' সেইসঙ্গে ২০২৪ সালেও রাহুলকে আমেঠি থেকে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন স্মৃতি। যিনি গত লোকসভা ভোটে রাহুলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি আইনের আদালত এবং মানুষের আদালতে উত্তরের (পড়ুন সত্যি) সন্ধান করব।’