কেরালার ওয়েনাডে লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচার করতে এসে নিজের জীবনের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। বললেন, মাদার টেরেসার সঙ্গে তাঁর একান্ত আবেগঘন কিছু মুহূর্তের কথা!
এদিন প্রিয়াঙ্কা জানান, তাঁর বাবা রাজীব গান্ধী খুন হওয়ার পর মাদার টেরেসা তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় কিশোরী প্রিয়াঙ্কাকে মাদার বলেছিলেন, তিনি যেন আর্তদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
এদিনের নির্বাচনী প্রচারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি এখানে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ। কয়েক দিন আগেও আমি এসেছিলাম আমার মনোনয়নপত্র জমা করতে। আমি যখন এলাম, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সেনার সদস্য। তিনি আমাকে বললেন, তাঁর মা আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু, তিনি হাঁটতে পারেন না।...'
'...তো, আমি তাঁর বাড়িতে যাই। তাঁর মা আমাকে জড়িয়ে ধরেন। যেন আমি তাঁরই সন্তান। আমি আপনাদের একটা কথা বলতে পারি যে তাঁর মধ্যে এবং আমার জন্মদাত্রীর মধ্যে আমি কোনও ফারাক খুঁজে পাইনি।...'
‘...আমার মনে হচ্ছিল যেন আমার মা, এখানে ওয়েনাডে এসেছে। আপনারা আমাকে ঠিক এই অনুভূতি দিয়েছেন।’
এরপরই প্রিয়াঙ্কা জানান, মাদার টেরেসা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তাই তিনি মাদারের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'যখন তিনি আমাকে একটি জপমালা দিয়েছিলেন (আমার মাকে দেওয়া জন্য), সেই ১৯ বছর বয়সে আমার অদ্ভূত অনুভূতি হয়েছিল। আমার বাবা যখন মারা যান, তার ঠিক ছয়-সাতমাস পর, মাদার টেরেসা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন, আমার মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য।...'
'...আমার তখন জ্বর। ফলে আমি আমার ঘর থেকে বেরোতে পারিনি। তিনি আমার ঘরে আসেন এবং আমার কপালে তাঁর হাত রাখেন। তিনি আমার হাত ধরেন এবং একটি জপমালা আমাকে দেন। তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে বলেন।'
'...এর ৫-৬ বছর পর আমি সিস্টারদের সঙ্গে কাজ করা শুরু করি। আমার কাজ ছিল, বাচ্চাদের পড়ানো।'
'...আমি দেখেছি, কীভাবে ভূমিধ্বসের সময় ওয়েনাডের মানুষ পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনারা প্রত্যেকে সাহায্য করেছেন। আমি এতে গর্বিত বোধ করি। আপনারা খুব সাহসি মানুষ।'
এছাড়া, এদিনের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সমালোচনা করেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের সমস্ত নীতি কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুদের স্বার্থেই তৈরি করা হয়।