শুক্রবার সংসদে প্রথমবারের মতো ভাষণ রাখলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। এবং নিজের প্রথম বক্তৃতাতেই তিনি বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান। সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে তিনি বলেন, 'ভয়ের মধ্যে দিয়ে দেশ চলতে পারে না। এই দেশ উঠে দাঁড়াবে, লড়াই করবে এবং সরকারের কাছে সত্য প্রকাশের দাবি করবে।' প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'সংবিধান হল ন্যায়বিচার, ঐক্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা প্রদানকারী ঢাল।' প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, গত ১০ বছরে সরকার সেই ঢাল ভাঙার চেষ্টা করে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফরের পরই হসিনাকে নিয়ে বড় মন্তব্য ইউনুসের উপদেষ্টার!)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বাইডেন: হোয়াইট হাউজ
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, 'এই সরকার ল্যাটারাল এন্ট্রি ও প্রাইভেটাইজেশনের মাধ্যমে সংরক্ষণ নীতিকে দুর্বল করতে কাজ করছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তাদের মনের মতো হলে সরকার সংবিধান পরিবর্তনের কাজ শুরু করে দিত। সত্যটি হল, তারা এখন 'সংবিধান' নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যে এদেশের মানুষ সংবিধানকে বাঁচিয়ে রাখবে।' তিনি লোকসভায় জাতিগত জনগণনা নিয়ে সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'বর্তমান সময়ে জাতিগত জনগণনা খুবই প্রয়োজনীয়। তবুও তারা মঙ্গলসূত্রের (লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতা দিয়ে দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস সরকারে এলে মহিলাদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়া হবে) মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে এবং জাতিগত জনগণনার মতো বিষয়কে তুচ্ছ করে তোলে।' (আরও পড়ুন: ভারতে বসে একের পর এক 'রাজনৈতিক মন্তব্যে' হাসিনার, সায় আছে দিল্লির?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে সংসদে প্রশ্ন ওয়াইসির, জবাবে জয়শংকর শোনালেন 'আশার কথা'
প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আজ দেশের মানুষ দাবি করছেন যাতে দেশে জাতিগত জনগণনা হয়। শাসক পক্ষের জোটসঙ্গীরাও এই কথার উল্লেখ করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে এই ফলাফলের কারণেই এই ইস্যুটির উল্লেখ করা হচ্ছে। জাতিগত জনগণনা এখন অপরিহার্য। এর ফলে আমরা প্রত্যেকের অবস্থা জানতে পারব এবং সেই অনুযায়ী নীতি তৈরি করা যাবে।' (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি পাগল... লুঙ্গির পিছনে আগুন', আরাকান আর্মি নিয়ে বিস্ফোরক তথাগত)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে 'কুকুর' আখ্যা দিলীপ ঘোষের! বললেন - 'ভিখিরিদের আশ্রয় ফুটপাতে'
এদিকে প্রিয়াঙ্কার 'অভিষেক বক্তবৃতার' প্রশংসা শোনা গিয়েছে রাহুল গান্ধী থেকে সোনিয়া গান্ধীর গলায়। রাহুল এই নিয়ে বলেন, 'দুর্দান্ত বক্তৃতা দিয়েছেন। আমার প্রথম বক্তৃতার থেকে ভালো।' এদিকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট তাঁর এই বক্তৃতা নিয়ে বলেন, 'আমি খুব খুশি। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন... তিনি জনগণের অসুবিধার কথা বলেছেন... প্রধানমন্ত্রী মোদীরও উচিত বিভিন্ন রাজ্যের জনগণের সমস্যার বিষয়ে নজর দেওয়া... আমি খুব গর্বিত। কংগ্রেস দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে।'