গুরুগ্রামের জমি দুর্নীতি মামলায় ফের দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-র দফতরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রার স্বামী তথা ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরা। আর দ্বিতীয় দিন তাঁকে ইডি দফতরে পৌঁছে দিয়ে যান স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা।শুধু তাই নয়, ইডি অফিসে ঢোকার ঠিক আগের মুহূর্তে স্বামী রবার্টকে আলিঙ্গন করে পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি। (আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চিনা ঘাঁটির জুজুকে বুড়ো আঙুল ভারতীয় সেনার, করল পালটা শক্তি প্রদর্শন)
আরও পড়ুন-National Herald case:ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট, সরব কংগ্রেস
মঙ্গলবারও প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে গুরুগ্রামের জমি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর জামাইবাবু রবার্টকে। গত ৮ এপ্রিল তাঁকে জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু সেবার তিনি ইডির তলব এড়িয়ে যান। ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে মঙ্গলবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। তবে এই ইডি তলবের জন্য সরাসরি বিজেপিকে দায়ী করেছেন রবার্ট। তাঁর মতে, এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। যার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। যাতে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিতে না পারেন, তার জন্যই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রবার্ট। তবে মঙ্গলবার তিনি একা আসলেও বুধবার সকালে ইডির দফতরের সামনে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে এসে অন্য বার্তা দিতে চাইলেন রবার্ট। বিজেপিকে তিনি ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এই দুঃসময়ে স্ত্রী এবং গান্ধী পরিবার তাঁর সঙ্গে ঢালের মতো রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: 'বিএসএফ টাকা দিয়ে ইট ছুড়িয়েছে', মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়েও বিস্ফোরক মমতা
অভিযোগ, রবার্ট বঢরার স্কাইলাইট হসপিটালিটি নামে একটি সংস্থা ২০০৮ সালে হরিয়ানার গুরুগ্রামের শিকোহপুর গ্রামে সাড়ে ৭ কোটি টাকায় একটি সাড়ে ৩ একর জমি কিনেছিল।সেই সময় রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল।চার বছর পর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সেই জমিটি ডিএলএফকে বিক্রি করা হয়েছিল ৫৮ কোটি টাকায়। এরপর ২০১৮ সালে হরিয়ানা পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে। পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সিবিআই একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করে। যাতে বলা হয়, হরিয়ানা সরকারের কর্মী ও অন্যান্য কয়েকজনের মদতে এই কেনাবেচা হয়েছিল। যার ফলে জমির মূল মালিককে প্রতারিত করা হয় এবং এটি একটি ফৌজদারি দুর্নীতি।এরপরে এই দুর্নীতি মামলায় ইডি পৃথকভাবে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে আর্থিক নয়ছয়ের কথাও যুক্ত করা হয়।