খোলা আকাশের নিচে নমাজ আদায়ে আপত্তি। প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় বাসিন্দারা মাইক নিয়ে ভজন গাইতে গাইতে পৌঁছে গেলেন নমাজ আদায়ের স্থানে। গুরুগ্রামের ৪৭ নম্বর সেক্টরে এই নিয়ে লাগাতার চার সপ্তাহ খোলা জায়গায় নমাজ পড়া নিয়ে আপত্তি ওঠে। নমাজে আপত্তি ওঠায় নমাজের স্থান ১০০ মিটার সরিয়ে দেয় পুলিশ। তারপরও নমাজ ব্যাহত করতে সেখআনে মাইক বাজিয়ে ভজন গাইতে পৌঁছে যান বেশ কেয়কজন বাসিন্দা।
কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ জন প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশ মোতায়েন করা ছিল সেখানে। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে প্রার্থনা করা হয়। পুলিশ একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়।
এর আগে পুলিশ সংঘর্ষ এড়াতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুভাষ চকের দিকে নমাজের স্থানে পৌঁছতে বলেছিল। এসিপি সদর অমন যাদব বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থনা করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে, আমরা উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছি এবং আমরা সমস্যাটির সমাধান সূত্র বের করার বিষয়ে কাজ করছি।'
উল্লেখ্য, সেক্টর ৪৭ হল সেই মনোনীত ৩৭টি সাইট স্থানের মধ্যে অন্যতম, যেখানে খোলা জায়গায় নমাজ আদায় করা যেতে পারে। দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালেও নমাজে বেশ কয়েকবার বিঘ্ন ঘটেছিল। তারপর প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা করে। বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন যে, খোলা স্থানে নমাজ আদায়ের ব্যবস্থাটি স্থায়ী নয়। এবং এই অনুমতি শুধুমাত্র একটি দিনের জন্য দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সেক্টর ৪৭ ছাড়া আরও তিনটি সেক্টরে খোলা স্থানে নমাজ আদায় বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে গুরগাঁও নাগরিক একতা সংগঠনের তরফে। এই মর্মে একটি চিঠিও পুবিশকে পাঠানো হয়েছে। আর সেক্টর ৪৭-এ এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বিগত চার সপ্তাহ ধরে।