২০১৮ সালে একটি টুইট করেছিলেন অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়েইর। কার্যত তার জেরে ২০২২ সালের ২৭ জুন থেকে তাঁকে গরাদের ওপারে রাত কাটাতে হচ্ছিল। ২০ জুলাই আদালত তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। এদিকে উত্তরপ্রদেশে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি ক্রিমিনাল কেস নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। ২১ পাতার সেই রায়ে দেখানো হয়েছে কীভাবে ক্রিমিনাল জাস্টিসের মেশিনারি জুবেইরের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এফআইআর-এর বিষয়বস্তু বহুক্ষেত্রেই একই ধরনের বা প্রায় একই।
ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেফতার কোনও শাস্তি দেওয়ার উপায় হিসাবে ব্য়বহার করা উচিত নয় কারণ এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও কেড়ে নেয়। কোনও স্বচ্ছ ট্রায়াল ছাড়া শুধু অভিযোগের উপর ভিত্তি করে কাউকে শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না রেখে যেখানে গ্রেফতার করা হয় সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। পর্যবেক্ষণ আদালতের। আদালত জানিয়েছে, ক্রিমিনাল ল ও তার পদ্ধতিগত দিক কাউকে হয়রানি করার উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।
এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকার আবেদন করেছিল যাতে জামিনে থাকাকালীন জুবায়েরের টুইট করা বা সোশ্য়াল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করায় লাগাম টানা হোক। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের নির্দেশ বাক স্বাধীনতায় আঘাত হানতে পারে। নাগরিক হিসাবে তিনি যে অধিকার ভোগ করেন সেটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে জুবায়ের আবেদনে জানিয়েছিলেন, তিনি একজন সাংবাদিক। তিনি পরস্পরের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার মাধ্যম হিসাবেই টুইটার ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ক্রিমিনাল প্রসেসের একটি নিষ্ঠুর চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন জুবায়ের যেখানে পদ্ধতিগত বিষয়টি নিজেই শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়।