পদ্ম বিভূষণ সম্মানে ভূষিত হলেন স্বনামধন্য পুরাতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ব্রজবাসী লাল, যাঁর নেতৃত্বেই রাম জন্মভূমি স্থানে খননকাজ চালানো হয়েছিল।
তাঁর লেখা ‘রাম, হিজ হিস্টোরিসিটি, মন্দির অ্যান্ড সেতু’ বইতে অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদের নীচে মন্দির অনুরূপ নির্মাণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে উল্লিখিত হয়েছিল।
অধ্যাপক লাল তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বাবরি মসজিদের ভিতের সঙ্গে যুক্ত ছিল বারোটি পাথরের থাম, যার উপরে হিন্দু নকশা, প্রতীক ও দেব-দেবীর মূর্তি খোদিত রয়েছে। দেখে সাফ বোঝা গিয়েছে যে, ওই থামগুলি মসজিদের অংশ কখনই ছিল না।’
১৭৭৬-৭৭ সালে কে কে মহম্মদের সঙ্গে রাম জন্মভূমিতে খননকাজ চালান অধ্যাপক লাল। বাবরি মসজিদের নীচে মন্দিরের অস্তিত্বের কথা জানান মহম্মদও।
রামায়ণ সংক্রান্ত খনন ছাড়াও মহাভারত ও সিন্ধু সভ্যতা বিশিষ্ট স্থানগুলিতেও খনন অভিযানে নেতত্ব দেন অধ্যাপক লাল, যার মধ্যে হস্তিনাপুর অন্যতম।
গাঙ্গেয় উপত্যকায় পুরাতাত্ত্বিক অভিযানে আবিষ্কৃত ধূসর রঙের বাসনপত্র আবিষ্কারের পিছনেও লাল ও তাঁর দলের অবদান স্বীকৃত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক পত্র-পত্রিকায় অধ্যাপক লালের লেখা অসংখ্য নিবন্ধ প্রশংসা ও সম্মান কুড়িয়েছে।
দীর্ঘ দিন তিনি ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের (Archaeological Survey of India) ডিরেক্টর জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০০ সালে তাঁকে পদ্ম ভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়।