পড়ুয়াদের ‘ভালো মার্কস’ দেন না, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি খোয়ালেন নাম করা প্রফেসর। এমনই কাণ্ড ঘটল নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, ৮২ জন পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় মাটিল্যান্ড জোনস জুনিয়ার নামক এক প্রফেসরকে চাকরি থেকে বের করে দিল। মাটিল্যান্ড রসায়নের প্রফেসর। তাঁর লেখা বই বহু বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক। ৪০ বছরে তিনি ২২৫টি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন গবেষকের সঙ্গে মিলে।
জানা গিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন পড়াশোনা শুরু হওয়ার পর যে পরীক্ষা হয়েছে তাতে নাকি ভালো মার্কস দেননি প্রফেসর। মাটিল্যান্ডের ৩৫০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৮২ জনই প্রফেসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত মার্কস না পেয়েই প্রফেসরের উপর রোষ এই পড়ুয়াদের।
নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১৫ বছর ধরে অর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি পড়াচ্ছেন মাটিল্যান্ড। তার আগে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন তিনি। মাটিল্যান্ডের দাবি, মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার জন্য বহু পড়ুয়া তাঁর ক্লাসে নাম নথিভুক্ত করাচ্ছেন। তবে পড়ুয়াদের মধ্যে মনযোগের অভাব লক্ষ্য করতে পারছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়ারা তাঁর ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন না। মাটিল্যান্ডের যুক্তি সত্ত্বেও পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮২ বছর বয়সি প্রফেসরকে চাকরি থেকে বের করে দেন দফতরের ডিন।
এর আগে ২০০৭ সালে নিউ ইয়র্কের ‘কুলেস্ট প্রফেসর’ খেতাব পেয়েছিলেন মাটিল্যান্ড। তবে এহেন প্রফেসর চাকরি খোয়ালেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনেক প্রফেসর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। অনেক পড়ুয়াও মাটিল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করেন।