সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পটি জাতীয় গুরুত্বের। তাই এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে না বলে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই আবেদনকে জনস্বার্থ মামলা বলে মানতে নারাজ আদালত। আদালতের তরফে বলা হয়, এই আবদনের নেপথ্যে স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এর জন্য আবেদনকারীদের ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে বলা হয় আদালতের তরফে। সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন অন্য মালহোত্রা আর সোহেল হাশমি। তাঁদের দাবি ছিল, সেন্ট্রাল ভিস্তার তৈরিতে বহু শ্রমিকের করোনা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং জ্যোতি সিংয়ের বেঞ্চ ১৭ মে এই মামলার শুনানি শেষ করে। সেই প্রেক্ষিতে এদিন রায়দান করে দিল্লির উচ্চ আদালত। সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট এদিন জানায়, সেন্ট্রাল ভিস্তা অত্যাবশ্যক প্রকল্প। তাই এর কাজ চালু থাকবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় এই প্রকল্প স্থগিত করার আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিমকোর্ট অবশ্য আবেদনকারীদের পরামর্শ দেয়, যাতে এই মামলাটি দিল্লি হাইকোর্টে করা হয়। প্রসঙ্গত, কোভিড আবহে জোরকদমে চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ। তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের। নয়া সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন নির্মাণের এই প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। সেই টাকা কোভিড মোকাবিলায় খরচ করা হোক, এই দাবি তুলেছে বিরোধীরা। তবে সেন্ট্রাল ভিস্তার এই প্রকল্পের বন্ধের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।