গ্যাংস্টার তথা সন্ত্রাসবাদী হরবিন্দর সিং সান্ধু ওরফে রিন্দার মৃত্যু হল। পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানের লাহোরের একটি হাসপাতালে রিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খলিস্তানপন্থী বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) গোষ্ঠীর সদস্য রিন্দা সীমান্তের ওপার থেকে পঞ্জাবে মাদক ও অস্ত্র পাচার করার জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে (আইএসআই) নানাভাবে সাহায্য করত। সন্ত্রাস আইনে তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।
যদিও তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে গোয়েন্দাদের অনুমান, রিন্দা হেরোইনে আসক্ত ছিল। বেশি পরিমাণে হেরোইন সেবন করার ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। রিন্দা লাহোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্জাব পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। রিন্দার মৃত্যু পঞ্জাবের জন্য বিশাল স্বস্তি বলেই মনে করেছে পুলিশের একাংশ।
অন্যদিকে, তার মৃত্যুতে আইএসআইয়ের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র বলছে, বিকেআই-এর প্রধান ওয়াদাওয়া সিং বাব্বরের সঙ্গে সম্প্রতি রিন্দার সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল।উল্লেখ্য, মে মাসে মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে নাম ছিল রিন্দার।
অমৃতসরের তরন তারান জেলার বাসিন্দা রিন্দাকে পারিবারিক বিবাদের জেরে ২০০৮ সালে প্রথমবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই সময় জেলে থাকাকালীন অপরাধীদের সংস্পর্শে আসে রিন্দা। ২০২০ সালে খলিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে পাকিস্তানে চলে যায়। এরপরেই পঞ্জাবে অস্ত্র পাচার ও মাদক পাচারে আইএসআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছিল রিন্দা।