গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল, আপাতত নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করা যাবে না পয়গম্বর মামলায়। এই আবহে এক মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন যাতে শীর্ষ আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয় নূপুরকে গ্রেফতার করতে। তবে আবেদনকারীকে নিজের আবেদন প্রত্যাহার করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চের সামনে এই মামলাটি উত্থাপিত হয়েছিল। সুপ্রিম বেঞ্চ আবেদনকারীকে আবেদনটি প্রত্যাহারের পরামর্শ দেয়।
প্রসঙ্গত, তথ্যযাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়ের বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে নূপুরকে সাসপেন্ড করে দেয় বিজেপি।
এর আগে নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর দেশে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এদিকে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রীকে সমর্থন করার জন্য খুন হতে হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। রাজস্থানের উদয়পুর, মহারাষ্ট্রের আমরাবতীতে এই ধরনের ঘটনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যা পুরো দেশকে নাড়িয়ে রেখে দিয়েছিল। আইএস জঙ্গিদের ভঙ্গিতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলির নেপথ্যে পাকিস্তানের যোগ ছিল বলেও জানা গিয়েছিল।
এদিকে সম্প্রতি হজরত মহম্মদের নামে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হন তেলাঙ্গানার বিধায়ক টি রাজা সিং। পরে চাপের মুখে সেই বিধায়ককে দল থেকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিয়োতে বিধায়ক টি রাজা সিং বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শহরের বিভিন্ন থানা ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়ছিল। কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির কাজকে কটাক্ষ করতে গিয়ে নবিকে ‘অপমান’ করেন বিধায়ক। যদিও রাজার অভিযোগ ছিল, ফারুকি তাঁর শোয়ে হিন্দু দেবতাদের অপমান করেছেন।