দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ফেডারেশনেরই প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই আবহে ব্রিজ ভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী ভিনেশ ফোগাটরা। গতকালই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে অবশেষে এফআইআর করেছে অমিত শাহের পুলিশ। তবে এরই মধ্যে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বজরং পুনিয়া। কুস্তিগীরের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তরের ধরনাস্থলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, ধরনাস্থলে জল এবং খাবার নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষোভ এলাকার চারপাশে ব্যারিকেড করে দিয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী বজরং বলেন, 'পুলিশ বলেছে, প্রতিবাদ করতে চাইলে রাস্তায় ঘুমাও। তাদের ওপর আজ কী ধরনের চাপ এসেছে? আগে এমন কোনও সমস্যা ছিল না, সুপ্রিম কোর্টের চাপেই এমনটা হয়েছে।' এদিকে বজরং আরও অভিযোগ করেন, তাঁদের জন্য যাঁরা খাবার এবং জল নিয়ে আসছিলেন, তাঁদের পুলিশ মারধর করে ভাগিয়ে দিয়েছে। পুলিশের এহেন আচরণ দেখে স্থম্ভিত বজরং। তবে বজরং পুনিয়া বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন যতই নির্যাতন করুক না কেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এদিকে অলিম্পিকে মেডেলজয়ী সাক্ষী মালিকের স্বামী তথা কুস্তিগীর বলেন, 'এটা ভালো যে অবশেষে এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে। তবে এফআইআর থেকে আমরা কী পাব? এফআইআর কি আমাদের বিচার দেবে? দিল্লি পুলিশের প্রথম দিনই এফআইআর করা উচিত ছিল। আমাদের খাতায় কলমে লড়াই সবে শুরু হয়েছে। দেখা যাক আমাদের আইনি দল ও কোচরা কী বলে। আমাদের দাবি, কুস্তিকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে হবে এবং আমাদের মহিলা কুস্তিগীরদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে হবে।'
এদিকে কুস্তিগীরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের আচরণ প্রসঙ্গে টুইট করে তোপ দেগেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। তিনি টুইটে লেখেন, 'প্রথমে ৬ দিন ধরে এফআইআর করা হল না। এখন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদীদের খাবার ও জল আটকে দেওয়া হচ্ছে। সম্ভবত সবচেয়ে অত্যাচারী শাসকও তার প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমনটা করতেন না। তবে এটা আমাদের গণতন্ত্র, আর এরা আমাদের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।'