বাংলাদেশে ছাত্র-জন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার গদিচ্যুতি হয়েছে বছরের মাঝামাঝি পর্বে। ৫ অগস্ট ২০২৪র সেই দিনে বাংলাদেশে বহু ভাঙচুরের ছবি দেখা যায়। এছাড়াও এই আন্দোলন ঘিরে উঠে আসে শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক গ্রাফিতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষা কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে দেখা গিয়েছিল শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক ‘ঘৃণাস্তম্ভ’র গ্রাফিতি। সদ্য সেই গ্রাফিতি গতকাল গভীর রাতে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
ঢাকার টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাশে 'ঘৃণাস্তম্ভ'র শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক গ্রাফিতি মোছার খবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেই পড়ুয়ারা ঘৃণাস্তম্ভের সামনে জড়ো হতে থাকেন। রাত তখন বেশ গভীর। ঘড়ির কাঁটা বলছে, রাত ২টো তখন পার হয়ে গিয়েছে। এদিকে, ঘৃণাস্তম্ভের সামনে এসে পড়ুয়ারা ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেন। এরপর রাত ২.৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। ‘প্রথম আলো’র খবর বলছে, ততক্ষণে দেখা গিয়েছে ওই ঘৃণাস্তম্ভের অর্ধেকটা মুছে ফেলা হয়েছে। তারপরই শেখ হাসিনার আরও একটি গ্রাফিটি ওই ঘৃণাস্তম্ভে আঁকা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর সইফুদ্দিন আহমেদের অনুমতি নিয়ে এই গ্রাফিতি মোছার কাজ চলেছে। পড়ুয়াদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রোক্টরের ওপর। তাঁরা প্রোক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
ঠিক কী ঘটেছে?
শনিবারের গভীর রাতে ঢাকায় ওই ঘৃণাস্তম্ভ নামে পরিচিত জায়গাটিকে শেখ হাসিনার একটি ব্যাঙ্গাত্মক গ্রাফিতি মোছার উদ্যোগ দেখা যায়। বিষয়টি লক্ষ্য করেন কয়েকজন ছাত্র। জানা যাচ্ছে, মইনুদ্দিন ইকবাল নামে এক ছাত্র দেওয়ালে ওই গ্রাফিতি মুছতে বারণ করেন। গোটা ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়ারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রাফিতি মোছার তুমুল বিরোধিতা করা হয়। পড়ুয়ারা প্রশ্ন তোলেন, এর নেপথ্যে কারা? কার অনুমতিতে এই গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে? তখনই মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে ইউসুফ আহমেদ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, এই গ্রাফিতি মোছার জন্য প্রশাসনের অনুমতি রয়েছে। জানা গিয়েছে, পরে যদিও ওই গ্রাফিতি ফের আঁকা শুরু করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে সরগরম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।