ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন। আর চিনের এই উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। এমনকী বেজিং বেআইনী কাজ করছে বলেও দাবি করেছে ভারত।
ভারতের তরফে বলা হয়েছে, জিনহুয়াতে গত ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৪ সালে একটা তথ্য় প্রকাশ করা হয়েছিল যে ইয়ারলাং সাংপো নদীতে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা সংক্রান্ত। এটা চিনের তিব্বত অটোনমাস রিজিয়নের মধ্যে পড়ে। এই নদীর নিম্ন অববাহিকায় থাকার জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে বিশেষজ্ঞ মারফৎ, কূটনৈতিক স্তরে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্বেগের কথা চিনকে জানিয়েছি। এই মেগা প্রজেক্ট সম্পর্কে। …জানিয়েছেন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
চিনের পক্ষকে বলা হয়েছে যে এটা নিশ্চয়তা দিতে হবে যে নিম্ন অববাহিকায় থাকা দেশ যে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মনিটরিং করব।
আসলে ভারত সীমান্তের কাছে তিব্বতে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঁধ দেওয়ার কাজের অনুমোদন দিয়েছে চিন। এটাকে গ্রহের সর্ববৃহৎ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এটা হলে ভারত ও বাংলাদেশের সমস্যা হতে পারে। কারণ জলের স্রোতে প্রভাব পড়বে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের যত পরিকাঠামো রয়েছে তার থেকেও বড় হবে এই প্রকল্প।
কোথায় হবে এই বাঁধ?
হিমালয়ের একটি বিরাট গিরিখাতে এই বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা। অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশের আগে যেখানে ইউ টার্ন নিচ্ছে নদী সেখানেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরপর নদীটি বাংলাদেশে চলে যাবে।
ভারতের উপর কী প্রভাব পড়বে?
এর মাধ্য়মে চিন এই নদীর জল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পাবে। আবার এর মাধ্যমে ভারতের কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। এনিয়ে ভারত ইতিমধ্যেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।