ফ্রায়েড চিকেনের সঙ্গে কন্নড় গান চাই। হিন্দি গান কেন? কর্ণাটকের এক KFC-তে এই নিয়েই শুরু হল বিতর্ক। আউটলেটের এক কর্মী অনুরোধ সত্ত্বেও কন্নড় গান চালাতে অস্বীকার করেন। উল্টে বলে বসেন, 'হিন্দি জাতীয় ভাষা।' এরপরেই #RejectKFC হ্যাশট্যাগে ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হয়ে যায় ওই কর্মীর ভিডিয়ো।
২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে, একজন মহিলাকে KFC আউটলেটে হিন্দি গানের পরিবর্তে কন্নড় গান বাজানোর অনুরোধ করতে শোনা যায়। ভিডিওটি ওই মহিলাই তুলেছেন। তিনি ক্যাপশন সহ টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, 'কেএফসি নিয়ম করেছে যে কর্ণাটকের আউটলেটগুলিতে কোনও কন্নড় গান চালানো যাবে না।'
ভিডিয়োতে, রেস্তোরাঁর এক কর্মচারী বলেন 'হিন্দি ভারতের মাতৃভাষা। তাই এখানে কোনও কন্নড় গান বাজানো হবে না।' এর প্রেক্ষিতে টুইটার ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, রেস্তোরাঁটি কর্ণাটকের সংস্কৃতির প্রতি অসম্মানজনক। অনেকে বলেছেন যে এটি কন্নড়বিরোধী।
প্রতিক্রিয়ায়, কেএফসির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভিডিয়োটি অনেক পুরনো। এখন আবার প্রচার করা হচ্ছে। 'কেএফসি ইন্ডিয়া সব সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। সারা দেশে উপস্থিতি আছে এমন একটি ব্র্যান্ড হিসাবে, আমাদের উপভোক্তারা যখনই এবং যেখানেই আমাদের দোকানে আসেন, তাঁদের একই KFC এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করার জন্য সদাপ্রচেষ্ট। বর্তমানে আমাদের কাছে একটি সাধারণ প্লেলিস্ট রয়েছে। এটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং কেন্দ্রীয়ভাবে কেনা। ফলে সেটিই দেশজুড়ে চালানো হয়। ব্যবসায়িক নিয়ম মেনেই এটি করা,' বিবৃতিতে বলা হয়।
তিনি জানান, ইংরাজি, হিন্দির পাশাপাশি প্রতিটি স্থানে আঞ্চলিক ভাষাতেও পরিষেবা দেয় KFC । স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলাই KFC ইন্ডিয়ার লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এক ফুড ডেলিভারি অ্যাপের হেল্পলাইনে হিন্দিতে কথা বলায় ক্ষুব্ধ হন তামিলনাড়ুর এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। চাপে পড়ে শেষমেশ 'অভিযুক্ত' কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে পরে তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়।