কর্ণাটকের রায়চূড়ের এক বিচারক গত ২৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবসের দিন দেশের সংবিধানের পিতাকেই অসম্মান করে বসলেন। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত তিন দিন ধরে কর্ণাটকে আইনজীবীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন জারি রয়েছে। জানা গিয়েছে গণতন্ত্র দিবসের দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে ঘিরে এই বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। মঞ্চে বিআর অম্বেদকরের ছবি থাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে অস্বীকার করেন বিচারক মল্লিকার্জুন গৌড়া। তিনি দাবি করেন, অম্বেদকরের চিত্র যতক্ষণ না সরানো হবে ততক্ষণ তিনি পতাকা উত্তোলন করবেন না। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে যায়। আর তারপরই বয়ে গিয়েছে বিতর্কের ঝড়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্ণাটক হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল টিজি শিবশঙ্করগৌড়া বলেছেন যে আদালত এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। এদিকে বিতর্কে জড়ানো বিচারকের অপসারণের দাবি তুলে অল ইন্ডিয়া লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর জাস্টিস বেঙ্গালুরুতে কর্ণাটকের বিধান সৌধের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শুক্রবারও।
অল ইন্ডিয়া লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর জাস্টিস বলেছে যে ডঃ বিআর আম্বেদকর জাতপাত, লিঙ্গ বৈষম্য এবং শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার খর্বের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন সারা জীবন। ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সমতা এবং ভ্রাতৃত্বের সাথে ভারতের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তিনি। আজকে, শাসক ক্ষমতার প্রদর্শন করে সংবিধানের প্রতি সবচেয়ে বড় অবিচার করে।
এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরব হয়েছে কর্ণাটকের দলিত সংগঠনগুলিও। দলিত অধিকার কমিটি বলেছে যে এই কাজটি নিন্দনীয় এবং অভিযোগ করেছে যে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং দেশের অন্যান্য ডানপন্থী সংগঠনগুলি প্রান্তিকদের অর্জন ও অবদানকে অস্বীকার করতে সামাজকে বিষাক্ত করার চেষ্টা করছে।