প্যারিসে শার্লি এবদো পত্রিকার প্রাক্তন অফিসের সামনে দুই জনকে ছুরিবিদ্ধ করায় ছেলের জন্য গর্বিত ধৃত আলি হোসেনের বাবা। নয়া পাকিস্তান নামে এক ওয়েব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের বৃদ্ধ চাষি।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার প্যারিসের ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদো-র পুরনো অফিসের সামনে ছুরি হাতে দাপিয়ে বেড়ায় আলি হাসান ওরফে জাহির হাসান মেহমুদ নামে পাক বংশোদ্ভূত ওই তরুণ। তার ছুরির আঘাতে জখম হন দুই টিভি চ্যানেল কর্মী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ফরাসি সরকার।
ছেলের এ হেন কাজকে শুধু সমর্থনই নয়, বীরত্বব্যঞ্জক বলে বর্ণনা করেছেন পাকিস্তানের বৃদ্ধ কৃষিজীবী। ছেলে আলি হোসেন যে ‘সিংহ-হৃদয়’ বিশিষ্ট দুঃসাহসী মুসলিম যোদ্ধা, সে কথাও গর্বের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ইমরান খান সরকারের কাছে তিনি ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে আবেদন জানাবেন বলেও স্থির করেছেন। তাঁর যুক্তি, ইসলামের স্বার্থে কাজ করেছে আলি হাসান এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ হিসেবে তাকে সুরক্ষা দেওয়া পাকিস্তানের কর্তব্য।
২০১৫ সালে ওই পত্রিকা দফতরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এক পুলিশকর্মী-সহ মোট ১৭ জনের মৃত্যুর পরে অজ্ঞাত ঠিকানায় অফিস স্থানান্তর করেছে শার্লি এবদো। মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই ওই হামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার শুনানি হয়েছে।
আলি হাসানকে ‘একজন ভালো ছেলে’ বলে বর্ণনা করেছেন তার বাবা। তিনি জানিয়েছেন, ধর্মনিষ্ঠ এই যুবক পাকিস্তানি সুন্নি মুসলিম ধর্মগুরু তথা দাওয়াত-এ-ইসলামি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ইলিয়াস কাদরির শিষ্য। সে প্রতিদিন প্রার্থনা করে এবং বছরে দুই বার মিলাদ পালন করে বলে জানিয়েছে তার বাবা।