আদানি ইস্যুতে বিজেপিকে কার্যত চেপে ধরেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র সোমবার আদানি গ্রুপকেও একহাত নেন। ইকনমিক্স টাইমসে খবর প্রকাশিত হয়েছিল আদানি অস্ট্রেলিয়ার একটি সম্পত্তির নিরিখে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ধার নিতে চাইছে। নর্থ কুইন্সল্যান্ড এক্সপোর্ট টার্মিনালের নাম করে এই অর্থ আদায় করার চেষ্টা হচ্ছে বলে খবর। ধার মেটাতে অস্ট্রেলিয়ায় কয়লা খনি বন্ধক রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে খবর। সেভাবেই ঋণ নিতে চাইছে বলে খবর। এবার এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
তিনি ২০২১ সালের একটি রিপোর্টকে সামনে এনেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল এনকিউএক্সটিতে বিনিয়োগ থেকে সরে এসেছে সংস্থা। আর এখন সেই সংস্থাকে দেখিয়েই ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তোলার চেষ্টা করছে। ধার নেওয়ার চেষ্টা করছে। এনিয়ে টুইট করেছেন মহুয়া মৈত্র। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্চ বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকেও ট্যাগ করেছেন তিনি।
এর সঙ্গেই মহুয়া মৈত্র খোঁচা দিয়েছেন, গেরুয়া চাড্ডিওয়ালা আমার কথা নিয়ে ট্রোলিং করতে ব্যস্ত থাকে। এখন তাদের আমন্ত্রণ জানিচ্ছি এবার দেশভক্তি দেখান আর আদানি স্টক কিনুন।
এদিকে রয়টার্স সূত্রে খবর, আদানি গ্রুপের টাকা তোলার জন্য NQXT কে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি টার্ম শিটও ইতিমধ্য়ে মিলেছে বলে খবর। তার মধ্যে আমেরিকার কোম্পানি ফ্যারালন ক্যাপিটাল রয়েছে। তবে ইকনমিক টাইমস কিংবা রয়টার্স উভয়ের তরফেই জানানো হয়েছে এনিয়ে আদানির গ্রুপ বা ফ্যারালন সংস্থার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে।
এদিকে এর আগে মহুয়া মৈত্র দাবি করেছিলেন, আদানির স্টকে থাকা এলআইসির দাম এই প্রথমবার ২৭,০০০ কোটির নীচে নেমে এসেছে। এমনকী ক্রয়মূল্যের ১১ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে এই দাম।
এদিকে আদানি ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতির আঙিনায় ঝড় উঠেছে বার বার। এমনকী বিশ্বের ধনীদের তালিকা থেকেও আদানি ছিটকে গিয়েছিলেন বলেও খবর।
এদিকে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যু নিয়ে যাতে কোনও খবর প্রকাশিত না হয় সেব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, মিডিয়া রিপোর্ট করা নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে না।