আস্থা ভোট এড়িয়ে মুখ রক্ষা হয়েছে। তবে নিজের দলের নেতাদের বিস্ফোরক সব দাবিতে ক্রমেই চাপে পড়ছেন ইমরা খান। আস্থা ভোট এড়িয়ে আগাম নির্বাচন করে সরকারে ফিরতে চাইছেন ইমরান। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁর ভাবমূর্তিতে যে কালো দাগের ছিঁটা পড়ছে তা তাঁকে জিততে সাহায্য করবে না। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সাংসদ আমির লিয়াকত দাবি করেছেন যে পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়াকে সরাতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। এর আগে পিটিআই-এর ফাইন্যান্সিয়ার আলিম খান দাবি করেন যে ইমরান খান দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে ইমরান খানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে আমির বলেছেন, ‘আপনি জেনারেল বাজওয়াকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমি এর সাক্ষ্য দিচ্ছি। আপনি আমাকে ডেকে বলেছিলেন যে আমি জেনারেল বাজওয়াকে সরিয়ে দিতে যাচ্ছি। আরও অনেক কথা আছে যা বলব, সব ধ্বংস হয়ে গেলেও আমি আপনার মতো টিভিতে এসে গোপন কথা খুলে দেব না। আমি আপনার মতো নই যে জাল চিঠি দোলাচ্ছে। চিঠিটা আসাদ সাহেবের কাছ থেকে লেখা হয়েছে।’
আমির ইমরান খানকে কটাক্ষ করে বলেন, 'আপনি সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ ঘটাতে চেয়েছেন। আপনি একজন কর্পস কমান্ডার এনে সেনাপ্রধানকে অপসারণ করতে চেয়েছিলেন। সরিয়ে দেখান। আপনার বাবাও সরাতে পারবে না। চেষ্টা করে দেখুন।' পাকিস্তানের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পেশোয়ারের বর্তমান কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদের মাধ্যমে সেনার অন্দরে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। ফৈজ হামিদকে নিয়ে ইমরান খান এবং কামার জাভেদ বাজওয়ার মধ্যে বিবাদের খবর কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছিল সেদেশের সংবাদ মাধ্যমে।