বিনায়ক দামোদর সভারকরকে নিয়ে মন্তব্য করে দুবছর আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সেই মানহানি মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা। এখন থেকে রাহুল গান্ধীকে এই মামলায় আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে হবে না। মঙ্গলবার পুণের আদালত তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দিয়েছে। আদালত বলেছে, রাহুল উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ভোগ করেন এবং বিরোধী দলের নেতা। তাই তাঁর আদালতে হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: 'ফাঁকা আওয়াজ নয়…' হাতে ধরা চিনের ড্রোন, ভারতকে কী করতে হবে? শেখালেন রাহুল
এই মামলায় রাহুল গান্ধীর আইনজীবী মিলিন্দ পাওয়ার গত মাসে আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। আবেদনে কংগ্রেস নেতার ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি চাওয়া হয়। রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেছিলেন সাভারকরের প্রপৌত্র। সেই মামলায় ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির হওয়ার পর রাহুল গান্ধীকে জামিন দেওয়া হয়। আদালতের বিচারক অমল শিন্ডে এদিন রাহুল স্বস্তি দেওয়ার সময় নির্দেশে বলেন, যে অভিযুক্ত লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং তাঁকে বেশ কয়েকটি সভায় যোগ দিতে হয়। রাহুল গান্ধীকে জেড-প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত নির্দেশে আরও বলেছে যে, তাঁর পুণে আসার খরচ এবং শুনানিতে অংশগ্রহণের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয় বিবেচনা করে তাঁকে মামলায় হাজির হওয়া থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে লন্ডনে রাহুল গান্ধী ভাষণ দিতে গিয়ে সাভারকরকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান। রাহুল তাঁর বক্তৃতায়, সাভারকরের লেখা একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে স্বাধীনতা সংগ্রামীর সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, যে ভিডি সাভারকর একটি বইতে একটি ঘটনা লিখেছিলেন যেখানে তিনি এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু একজন মুসলিম ব্যক্তিকে মারধর করেছিলেন এবং সাভারকর এতে খুশি অনুভব করেছিলেন।
প্রপৌত্র সাত্যকি সাভারকর এই অভিযোগগুলিকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন। তিনি এই বক্তব্যকে ‘কাল্পনিক, মিথ্যা এবং বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেছিলেন, যে এ ধরনের কোনও ঘটনা কখনও ঘটেনি এবং ভিডি সাভারকর কখনও এই বিষয়ে কিছু লেখেননি। তা নিয়ে অভিযোগের পর পুণের আদালত পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়।