বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ধারের টাকা ফেরত দিতে না পারায় ধর্ষণ করল সুদের কারবারি

ধারের টাকা ফেরত দিতে না পারায় ধর্ষণ করল সুদের কারবারি

Police said the girl spoke about the rape after her mother faced an acid attack which she blamed on the mahant (AFP File Photo)

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতার স্বামী টাকা ধার নিয়েছিল, কিন্তু শোধ করতে পারেনি। সেই 'অপরাধ'-এ মহিলাটিকে ধর্ষণ করে বিকৃতমনস্ক ওই ব্যক্তি।

মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের ৪৭ বছর বয়সী এক সুদের কারবারি মহাজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। এক মহিলার স্বামী ওই মহাজনের কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় এই বর্বরোচিত কাণ্ড ঘটনায় মহাজন। মহিলার স্বামী সময় মত ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় মহিলাকে ধর্ষণ করে জনৈক মহাজন, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটা বেশ কিছুদিন আগের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। হদপসার থানার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতার স্বামী টাকা ধার নিয়েছিল, কিন্তু শোধ করতে পারেনি। সেই 'অপরাধ'-এ মহিলাটিকে ধর্ষণ করে বিকৃতমনস্ক ওই ব্যক্তি।

জানা যায়, পুনের হদপসরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ শেখ নামে এক ব্যক্তি নির্যাতিতার স্বামীকে সুদে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছিল। কিছু দিন পর থেকে সুদ সহ ধারের টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ইমতিয়াজ। সেই সময় টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় ওই দম্পতি। ঋণ পরিশোধ না করলে খুনের হুমকিও দিয়েছিল অভিযুক্ত ওই মহাজন। এরপরে অভিযুক্ত ইমতিয়াদ নির্যাতিতা ও তার স্বামীকে পুনের হদপসার এলাকায় তার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। স্বামী-স্ত্রী সেখানে গেলে তাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সেই মুহূর্তে টাকা দিতে পারবে না বলে অভিযুক্তকে জানায় তারা। এর পরেই অভিযুক্ত ব্যক্তি নারকীয় প্রতিশোধ নেয়।

পুলিশ আধিকারিক এপ্রসঙ্গে আরও বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি কার্যত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। মহাজন ব্যক্তিটি নির্যাতিতার স্বামীকে হুমকি দেয়। ছুরি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং স্বামীর উপস্থিতিতেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এই জঘন্য অপরাধ ঘটিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি সে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি মোবাইল ফোনে গোটা ঘটনা রেকর্ড করে। এরপর একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সেই ক্লিপটি পোস্ট করে দেয়। এমনই জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি এবং আরও তদন্ত চলছে'।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, জানিয়েছে পুলিশ।

বন্ধ করুন