দ্বাদশে পরীক্ষার ফল ভালো হওয়ায় রাস্তায় ‘পোর্শে’ গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল ১৭ বছরের নাবালক। পুনের ওই নাবালক রাস্তায় তীর বেগে চালাচ্ছিল গাড়ি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলেছিল গাড়িটি। যা গিয়ে ধাক্কা মারে একটি বাইকে। আর বাইকে থাকা ২ আরোহীকে মুহূর্তে পিষে দেয়। সেই নাবালক অভিযুক্তকে পরে ধরে ফেলে পুলিশ। এদিকে, কংগ্রেসের দাবি হেফাজতে নাবালক অভিযুক্তকে পিৎজা দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের প্রশ্ন, ওই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার শর্ত ঘিরে।
বাবা পেশায় তাবড় ব্যবসায়ী। তাঁর ছেলে বেরিয়েছিল রাস্তায় ‘পোর্শে’ গাড়ি নিয়ে। আর তার ধাক্কাতেই প্রাণ গেল দুই ইঞ্জিনিয়ারের। ঘটনায় নাবালকের বাবা ব্যবসায়ী বিশাল আগারওয়ালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র অতুল লোন্ধে দাবি করছেন, পোর্শে কাণ্ডে নাবালককে হেফাজতে দেওয়া হয়েছে পিৎজা। তিনি বলছেন,'পুলিশের ওপর কি কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল? জনগণকে এর উত্তর দিতে হবে। এই মামলা পরিচালনাকারী সমস্ত পুলিশকে বরখাস্ত করা উচিত এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্যান্য নাগরিকরা কি একই তৎপরতা এবং বিশেষ আচরণ পান?' তাঁর দাবি, হেফাজতে ওই নাবালককে পিৎজা ও বার্গার খেতে দেওয়া হয়েছিল। এই তথ্য তুলে ধরেছে নিউজ ১৮ এর রিপোর্ট। এদিকে, পুলিশ বলছে, ‘ গতকাল উল্লেখ করেছেন যে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া প্রতিটি আইনি পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। আইন বিশেষজ্ঞরা যদি বিশ্বাস করেন যে আরও কঠোর বিধান উপলব্ধ রয়েছে, তাহলে তাঁদের জন সমক্ষে আলোচনার জন্য এগিয়ে আসা উচিত।’ এছাড়াও পুনে পুলিশের কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেছেন,' যদি কোনও পুলিশ কর্মীরা কিশোরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভারে সহায়তা করে থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, অনীশ আওধ্যা ও অশ্বিনী কোস্টা, এই দুই ইঞ্জিনিয়ারকে গাড়িতে পিষে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত কিশোর আপাতত জামিনে মুক্ত। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তাকে যে শর্তে জামিন দিয়েছে সেই শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি বলছেন, ‘ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের আদেশ একটি অবাক করার মতো বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড যদি আদেশ পর্যালোচনা না করে, পুলিশ উচ্চ আদালতে যাবে।’ প্রসঙ্গত, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে জামিনের শর্তের অন্যতম ছিল ৩০০ শব্দের রচনা লেখা। রচনার বিষয় ছিল ‘পথ দুর্ঘটনার প্রভাব ও তার সমাধান।’ এছাড়াও ১৫ দিন ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ওই নাবালককে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।