তিনশো শব্দের রচনা লিখে আনো - এমনই শর্তে জামিন পেল পুণের ১৭ বছরের ‘খুনি’। যে মদ খেয়ে পোর্শে গাড়ি দিয়ে দু'জনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই জামিনও মিলেছে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে। শনিবার (ইংরেজি মতে রবিবার) ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ দু'জনকে গাড়ি দিয়ে ‘খুন’ করার পরে রবিবার সন্ধ্যায় তাকে পুণের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পেশ করা হয়। পুণের এক 'বড়' ব্যবসায়ীর ছেলেকে জামিন দিয়ে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড জানায় যে ১৫ দিন ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আর দুর্ঘটনা নিয়ে রচনা লিখে নিয়ে আসতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। আর সেটা পুরোটাই হয়েছে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন যে অভিযুক্তের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৭৫ ধারায় (ইচ্ছাকৃতভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ককে অবহেলা) মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অপর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে নাবালককে মদ দেওয়ার অভিযোগে দুটি হোটেলের তিনজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আর জুভেলাইন জাস্টিস আইনের ৭৭ ধারায় মামলা (অপ্রাপ্তবয়স্কদের মদ ও মাদক দেওয়া) রুজু করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
কীভাবে সেই ‘খুনের’ ঘটনা ঘটেছিল?
শনিবার (ইংরেজি মতে রবিবার) ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ পুণের কল্যাণীনগর এলাকায় সেই ঘটনা ঘটে। পোর্শে দিয়ে মোটরবাইকে থাকা এক যুবক এবং এক যুবতীকে পিষে দেয় ওই ১৭ বছরের ছেলে। পুলিশ দাবি করেছে যে 'খুনি' মদ খেয়েছিল। সে যাঁদের 'খুন' করেছে, তাঁরা দু'জনেই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন অশ্বিনী কোস্টা (২৪) এবং আনিস আওয়াধিয়া (২৪)।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া
মধ্যপ্রদেশের বাড়ি থেকে অশ্বিনীর দাদা সম্প্রীত বলেন, 'জানুয়ারিতে ওর ২৪ বছর পূর্ণ হল। গত ছয় বছর ধরে ও পুণেতে ছিল। আইন মেনে (খুনির বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।' অশ্বিনীর বাবা সুরেশ বলেন, '(খুনিদের বিরুদ্ধে) আইন মেনে পদক্ষেপ করা উচিত। যাতে শিক্ষা পায়। ও পুণেতেই পড়াশোনা করেছিল। তারপর পুণেতে চাকরি পেয়েছিল ও।'
আরও পড়ুন: HT বাংলা Exclusive-ভোটের সাতকাহন- 'পর' আর ঘর কখনও এক হয় না, বিষ্ণুপুরে আমার প্রেস্টিজ ফাইট-সুজাতা
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিরোধীদের
সেই ঘটনা নিয়ে শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) এবং বিজেপির জোট সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) নেতা সঞ্জয় রাউত। পুণের পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, 'পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করতে হবে। এই ঘটনায় তাঁকে সাহায্য করছেন তিনি? দু'জন নিরীহ প্রাণ হারালেন। ওই ছেলেটাকে পাবে মদ খেতে দেখা গিয়েছে।' সেইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের 'সিস্টেম' দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। বিধায়ক নিজেও দুর্নীতিবাজ।