সম্প্রতি পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে রায় দেয় যে মুসলিম তরুণীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলেও বয়ঃসন্ধিতে বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। এরপরই উচ্চ আদালতের সেই রায়কে খতিয়ে দেখার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। এরই মাঝে ফের একবার অন্য এক মামলায় পঞ্জাব এবং হরিয়ানা উচ্চ আদালত জানাল, ১৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে থাকা কনও মুসলিম নাবালিকা যদি নিজের ইচ্ছে বিয়ে করে, তাহলে বাল্য বিবাহ আইনের ১২ নং ধারা লঙ্ঘন করে না।
উল্লেখ্য, ২৬ বছর বয়সি এক যুবক আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তাঁর ১৬ বছর বয়সি স্ত্রীকে শিশুকেন্দ্রে আটক করা হয়েছে। আবেদনকারী জাভেদের দাবি, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের ইচ্ছেতে বিয়ে করেছেন। এই আবহে উচ্চ আদালত জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী এই বিয়ে বৈধ। বিচারপতি বিকাশ বাহল জানান, নিজেদের ইচ্ছেতে বিয়ে করায় বাল্য বিবাহ আইন লঙ্ঘন হচ্ছে না। এই আবহে জাভেদের আটক স্ত্রীকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। আদালত জানায়, মুসলিম পার্সনাল ল’ অনুযায়ী, যেহেতু সেই তরুণী বয়ঃসন্ধি পার করেছে, তাই অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। উচ্চ আদালত বলে, ‘মুসলিম মেয়ের বিয়ের বিষয়টি মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী হয়।’
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকা-র ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, মুসলিমদের বাল্য বিবাহ নিয়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের রায়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর জন্য ‘অ্যামিকাস কিউরি’ হিসেবে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আর রাজশেখর রাওকে নিযুক্ত করে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই রায়ের প্রেক্ষিতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।