২০২২ বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রীতিমতো তুঙ্গে পঞ্জাবের ভোটের ময়দান। সেখানে বিজেপি বিরোধী শিবিরের অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি কার্যত কংগ্রেসের সঙ্গে জোর কদমে টক্কর দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে, আপ (আম আদমি পার্টি)কে একচুলও জমি ছাড়তে রাজি নয় সিধুর নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব কংগ্রেস । সোমবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে নভজ্যোত সিং সিধুর পার্টি এক বড়সড় অভিযোগ তোলে অরবিন্দ শিবিরের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেন পঞ্জাবে আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম। সেই পদে ভগবন্ত মানকে বেছে নেওয়ার আগে, আপ একটি জনমত গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে সেই জনমত গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। সেই মতো ভগবন্ত মানের নাম নির্ধারণের আগে মোবাইলে এসএমএস মারফৎ জনমত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম বাছাই পর্বে ২২ লাখ জনমত উঠে আসে এসএমএস-এর মাধ্যমে। আর কেজরিওয়ালের এই বক্তব্য ঘিরেই তাঁকে 'স্ক্যামমস্টার', 'মুখোশধারী' বলে আখ্য়া দেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোত সিং সিধু। কংগ্রেসের অভিযোগ, কোনও ব্যক্তিগত নম্বরে ৫ হাজারের বেশি ফোন কল বা এসএমএস আসতে পারে না। নভজ্যোত সিং সিধুর প্রশ্ন, তাহলে কী করে কেজরিওয়ালের পার্টি একটি নম্বরে ২২ লাখ 'প্রতিক্রিয়া পেলেন'?
সিধুর দাবি, '২৪x৭ এর নিরিখেও একটি প্রাইভেট নম্বর ৫ হাজারের বেশি মেসেজ বা কল পেতে পারে না।' সিধুর সাফ দাবি, 'এটা স্ক্যাম মানুষকে ঠকাতে করা হয়েছে। উনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) মুখোশধারী।' এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। জানানো হয়েছে অভিযোগ।উল্লেখ্য, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হতে চলেছে। সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল শিবিরের ভগবন্ত মান মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে আম আদমি পার্টির প্রতিনিধি। তিনি ধুরি আসন থেকে লড়াইয়ে নামছেন। এদিকে, পঞ্জাবে সিধু গোষ্ঠীর তুরুপের তাস যেমন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নির মতো হেভিওয়েটরা, তেমনই চমক হিসাবে সেখানে মোগা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রতিনিধি অভিনেতা সোনু সুদের বোন মালবিকা।