পঞ্জাবে জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কারে না খুশ বহু মানুষ। বিরোধী থেকে শুরু করে ইতাহাসবিদরা এই সংস্কারের বিরোধিতা করে কেনদ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কংগ্রেস সাসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর মত, এই সংস্কারের মাধ্যমে শহিদদের স্মৃতির প্রতি অসম্মান জানানো হয়েছে। তবে রাহুলের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন রাহুল গান্ধী। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এই নয়া সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়য়েছেন।
জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কারের বিরোধিতা করে একটি টুইট করে রাহুল গান্ধী লেখেন, 'জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের প্রতি এই অপমান তাঁরা করতে পারেন যাঁরা শহিদ হওয়ার অর্থই জানেন না। আমি নিজে একজন শহিদের সন্তান। আমি কোনও শহিদের অপমান কোনও ভাবেই মেনে নেব না। আমি এরকম অভদ্র কার্যকলাপের বিরোধী।'
তবে এই টুইটের কয়েক ঘণ্টার পরই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে বলতে শোনা যায় যে এই সংস্কারের কাজ 'খুব সুন্দর' হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমার জানা নেই কী সরানো হয়েছে। আমার কাছে এই নয়া রূপ বেশ সুন্দর লাগছে।' উল্লেখ্য, জালিয়ানওয়ালাবাগ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নরেন্দ্র মোদী নিজে। ট্রাস্টে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহও রয়েছেন। জালিয়ানওয়ালাবাগ-কাণ্ডের শতবর্ষ উজ্জাপনের জন্য স্মারকের সংস্কারের কাজে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়। আর্কিওলজিকাল সার্ভে, সংস্কৃতি মন্ত্রকের নজরদারিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনবিসিসি কাজ করে।
এদিকে অমরিন্দর এই নয়া সংস্কারের পক্ষে কথা বললেও এই বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন তাবড় বিরোধী নেতারা। রাহুলের পাশাপাশি এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেন, আমি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নানা রঙের ডিস্কো আলো লাগানোর বিরুদ্ধে। এতে জালিয়ানওয়ালাবাগের গুরুত্ব কমে গেল। এদিকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, দিল্লিতে সেন্ট্রালভিস্তা প্রকল্পটি কীভাবে মোদী-আবাদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে, এ তারই পূর্বাভাস।